খারাপ হাতের লেখা ডেকে আনলো বিপদ! গ্রেফতার হল পুলিশের হাতে

ডেস্ক: ছোট থেকেই হাতের লেখা সুন্দর করানোর জন্য অভ্যাস করি এসেছেন আমাদের মা বাবা। কারোর কারোর সুস্পষ্ট ছবির মতো হাতেরলেখা আবার কারোর হাতের লেখা এতটাই খারাপ হয় যা বোঝা দায় হয়ে যায়। কিন্তু কেমন হবে যদি জানতে পারেন খারাপ হাতের লেখা এক ব্যক্তিকে জেলে পাঠানোর কারণ হয়ে দাঁড়ায়?

এমনটাই ঘটনা ঘটে 67 বছরের অ্যালান স্ল্যাটারির সাথে। ব্যাঙ্ক ডাকাতি করতে গিয়ে তার খারাপ হাতের লেখাই তাকে ধরিয়ে দিয়েছে পুলিশের হাতে। ঘটনাটির সূত্রপাত হয় মার্চ মাসে। ইস্টব্রোনের টার্মিনাস রোডে নেশনওয়াইড বিল্ডিং সোসাইটিতে প্রবেশ করেন সে। কোনও কথা না বলেই ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ারকে একটি চিরকুট দেন। কিন্তু অ্যালানের হাতের লেখা এতটাই খারাপ ছিল যে ক্যাশিয়ার লেখাটি বুঝতে অক্ষম হন। ফলে খালি হাতেই অ্যালানকে ফিরে আসতে হয়।

পরে ব্যাঙ্কের বাকি আধিকারিকরা বহু কষ্ট লেখাটা পাঠোদ্ধার করতে সক্ষম হয়। যেখানে চিরকুটটিতে লেখা ছিল, “স্ক্রিন যেনো বন্ধ না হয়। অন্য গ্রাহকের কথা ভেবে 10 ও 20 ইউরোর নোটগুলি দিন”। এটা পড়া মাত্রই পুলিশে খবর দেন ব্যাঙ্ক আধিকারিকরা। তার পরই হাতের লেখার সূত্র ধরেই চলে তদন্ত।

আর এই ঘটনার দুই সপ্তাহের পরেই আবার ওই ব্যাঙ্কেরই সেন্ট লেনার্ড ব্রাঞ্চে যান অ্যালান। এবং একই ভাবে কাজে একই লেখা লিখে টাকা দেওয়ার দাবি জানায় সে। তবে এবারে ক্যাশিয়ার অ্যালানের হাতের লেখা পড়তে পারায় 2400 ইউরো দিয়ে দেয়। ব্যাঙ্ক থেকে অ্যালান বেরিয়ে আসায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বাসে উঠছে অ্যালান।

এরপর পহেলা এপ্রিল সাসেক্স পুলিশের কাছে ন্যাটওয়েস্ট ব্যাঙ্ক থেকে ফোন আসে। খবর দেওয়া হয়, এক ব্যক্তি কাগজের টুকরোয় লিখে টাকা দাবি করেছেন। সেই মুহূর্তে অ্যালান ব্যাঙ্ক থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তার খারাপ হাতের লেখার সূত্র ধরে পুলিশ অ্যালানের পুরনো ঠিকানায় পৌঁছায়। এবং সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের জেরায় তিনি সত্যি স্বীকার করে নেন। গত 16 ই জুলাই তাকে আদালতে তোলা হয় এবং 6 বছরের সাজা দেওয়া হয়।