ডেস্ক: টানা লকডাউনের কারণে মানুষের থেকেও বেশি সমস্যায় পড়ে রয়েছে অবলা প্রাণীরা। বিধ্বস্ত মানুষদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার মতো এমন বহু সংস্থা রয়েছে। এমন অনেকেই রয়েছে যারা টানা এক বছর ধরে সক্রিয়ভাবে খাদ্যাভাব পূরণ করছে দরিদ্রদের।
কিন্তু খালি পেটে চুপচাপ পড়ে থাকতে হচ্ছে রাস্তার কুকুরদের। না তারা কোথাও থেকে ত্রাণ পাচ্ছে, না পারছে মুখ ফুটে খাবার চাইতে। শুধু নিঃশব্দ দুটি চোখ দিয়ে তাকিয়ে থাকছে সকলের দিকে কারা কখন দুমুঠো খেতে দেবে তাদের।
এ সমস্ত অবলা প্রাণীদের আর্তনাদ হয়তো পৌঁছেছে বেশ কিছু মানুষের কানে। যারা ঠিক করেন এই অসময় এবারে মানুষ না প্রাণী দের সাহায্যে নিজেদের নিয়োজিত করবেন।
ঘটনা হচ্ছে নির্জন কলকাতার ডালহৌসির নিকটবর্তী এলাকা ম্যাঙ্গো লেন যা একটি কর্পোরেট এরিয়া সেখানেই বেশকিছু কুকুরদের দেখা যায় একটি গাড়ির সামনে ঘেরাও হতে। প্রথম দিকটা অস্বাভাবিক লাগলেও পরে জানা যায় সে কুকুরগুলোর গাড়িটির সামনে ঘেরা হওয়ার কারণ।
দুই যুবক গাড়ি থেকে খাবার নামিয়ে খেতে দিচ্ছে রাস্তার কুকুরদের। তাদের মধ্যে একজনের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা বেশ কিছু সময় ধরে অবলা প্রাণীদের উদ্যোগ নিয়ে খাওয়াচ্ছেন। তাদের মতো তাদের সাথে আরো অনেক সহকর্মীরা রয়েছে যারা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছেন ভ্যানে করে খাবার নিয়ে।
এ সমস্ত কিছুর উদ্যোক্তা হচ্ছেন তাদের সিনিয়র রাজীব ঘোষ যিনি একজন পশু প্রেমী। সেই যুবকগুলির মতে একজন মানুষ খুব সহজেই পারেন কারোর থেকে খাবার চেয়ে খেতে। তাদের খাওয়ানোর মতো সংগঠন রয়েছে। কিন্তু রাস্তার কুকুর সে জিনিসটি করতে পারে না। যার কারণে অনাহারে মরতে হয় তাদের। লকডাউন এর কারণে বন্ধ ম্যাঙ্গো লেনের হোটেল ও ধাবা গুলি। যেগুলি একমাত্র উপায় ছিল কুকুরগুলোর পেট ভরার জন্য। কিন্তু এগুলি বন্ধ থাকার কারনে খাওয়ার সংকট হচ্ছে তাদের। তাই এই ছোট্ট প্রচেষ্টা।