ফেসবুকে এক গৃহধূকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সুরাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রির চেষ্টা এক যুবকের

ডেস্ক: আমরা প্রত্যেকেই জানি টেকনোলজি দিন দিন যত উন্নত হচ্ছে ততোই বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া হয়ে উঠেছে মানুষের অন্যতম নিত্যপ্রয়োজনীয় মাধ্যম। যার সাহায্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজকর্ম থেকে শুরু করে আনন্দ উপভোগ, পড়াশোনা সমস্ত টাই চলছে।

ঝকঝকে চকচকে সোশ্যাল মিডিয়ার পেছনের গল্প অনেকটাই আলাদা যার আঁধারে হারিয়ে যাওয়ার পর ফিরে আসতে অক্ষম হয়েছে বহু মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়া এখন পরিণত হয়েছে এক ফাঁদে। এবং এই ফাঁদেই এবারে পড়েছেন বীরভূমের এক মহিলা। ফেসবুকে প্রেম সম্পর্কের ফাঁদ পেতে মহিলাটিকে অপহরণ করে সুরাটে নিয়ে যায় এক যুবক। তারপরে লক্ষাধিক টাকার চেয়ে মহিলাটির বাড়িতে ফোন করে অপহরণকারী। থানায় কমপ্লেন জানাতে পুলিশ সুরাট থেকে উদ্ধার করে মহিলাটিকে। এবং বৃহস্পতিবার তাকে তুলে দেয় পরিবারের হাতে।

ঘটনাটি ঘটে 23 শে জুন। বীরভূমের নলহাটি থানার পাইক পাড়া গ্রামের বাসিন্দা নাজমুনেশা। সদ্য বিয়ে হয়েছে তার। বিয়ের পর বাপের বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। এবং হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান বাড়ি থেকে। পরিবারের লোক তার কোন সন্ধান না পেয়ে নিখোঁজের ডাইরি করে থানায়।

পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর জানতে পারে ফেসবুকে বেশ কিছুদিন ধরে এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল নাজমুনেশার। এবং তার সাথে বাড়ি ছেড়ে পালান মহিলা। পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক প্রথমে গৃহবধূকে মুম্বাই নিয়ে যায় এবং সেখান থেকেই সুরাট নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এরপর এই মহিলার বাড়িতে 6 লক্ষ টাকার দাবি করে ফোন করে যুবকটি। এবং টাকা না দিলে বিক্রি করে দেওয়ার হুমকি ও দেখায় সে। বিষয়টি নলহাটি থানা জানান নাজমুনেশার পিতা।

তারপরেই নলহাটি থানার পুলিশ 5 জনের এক টিম তৈরি করে রহণা সুরাটের উদ্দেশ্যে। এবং সেখান থেকেই নাজমুনেশা কে উদ্ধার করে এবং ওই যুবককে করা হয় গ্রেফতার। গতকাল পুলিশ থানায় নিয়ে আসে মহিলাটিকে এবং বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাট আদালতের মাধ্যমে তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মেয়ে উদ্ধার হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয় পরিবারের লোক।