আজ তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট।

ডেস্ক:  মোরারজি দেশাইয়ের রেকর্ড ভেঙে, টানা সপ্তমবার বাজেট পেশ করে নজির গড়তে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তাঁর আগে দেখা করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে।

সকাল ১১টায় সংসদে বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সকাল সাড়ে ৮টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে নর্থ ব্লকে পৌঁছন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এরপর রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে তুলে দেন বাজেটের কপি। শুভ কাজ শুরুর আগে অর্থমন্ত্রীকে ‘দহি-চিনি’ খাওয়ালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু । রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে ফিরে আসেন মন্ত্রকে। সকাল ১০টা নাগাদ কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরীকে নিয়ে সংসদের উদ্দেশে রওনা দেন নির্মলা সীতারমণ। বহিখাতার বদলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর হাতে ছিল লাল রঙের ট্যাব। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ক্যাবিনেট বৈঠকে সিলমোহর মেলার পর লোকসভায় বাজেট পেশ হবে। এরপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বাজেটের জন্য আজ একঘণ্টা দেরিতে শুরু হবে রাজ্যসভার অধিবেশন।

তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বাজেটে দেশবাসীর জন্য কি অপেক্ষা করছে? তার উত্তর মিলবে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাজেট এলেই,মধ্যবিত্তরা চাতকের মতো চেয়ে থাকে, যদি আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা আরেকটু বাড়ে। এবারও তার ব্য়তিক্রম নয়। বর্তমানে পুরনো ব্য়বস্থা অর্থাৎ ওল্ড রেজিমে বার্ষিক ২.৫ লক্ষ টাকা আয়ে কোনও কর দিতে হয় না। বার্ষিক আড়াই থেকে ৫ লক্ষ টাকা অবধি আয়ের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কর দিতে হয়। বার্ষিক ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ এবং বার্ষিক ১০ লক্ষ টাকার বেশি আয়ের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়। আর নতুন ব্য়বস্থা অর্থাৎ নিউ রেজিমে বার্ষিক ৩ লক্ষ অবধি আয়ে কোনও কর দিতে হয় না। বার্ষিক ৩ লক্ষ ১ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা অবধি আয়ে ৫ শতাংশ কর দিতে হয়। বার্ষিক ৬ লক্ষ ১ টাকা থেকে ৯ লক্ষ টাকা আয়ে ১০ শতাংশ। বার্ষিক ৯ লক্ষ ১ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা অবধি আয়ে ১৫ শতাংশ। ১২ লক্ষ ১ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা অবধি আয়ে ২০ শতাংশ। এবং বার্ষিক ১৫ লক্ষ টাকার বেশি আয়ে ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়।

খাদ্য-সহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বর্তমানে লাগামছাড়া। জুনে মূল্যবৃদ্ধির হার অনেকটা বেড়েছে খুচরো ও পাইকারি, দুই বাজারেই। টানা কয়েক মাস নামার পর, জুনে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি আবার ৫% ছাড়িয়েছে (৫.০৮%)। খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে তা আরও চড়ে হয়েছে ৯.৩৬%। অন্যদিকে, পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ মাসে সব থেকে বেশি, ৩.৩৬%। খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ১১%। পাশাপাশি এপ্রিল মাস থেকে প্রায় ৮০০ ওষুধের দাম বেড়েছে। বাজেটে কি নিত্য়প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে মোদি সরকার? রয়েছে এমই একাধিক প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *