ডেস্ক: যেই পরিস্থিতি আফগানিস্থানে চলছে তা নিয়ে চিন্তামগ্ন গোটা বিশ্ব। তবে চিন্তা আরো কিছু গুণ বেড়ে যায় যখন প্রিয়জনরা সে সমস্যার অন্ধ খনিতে চাপা পড়ে রয়েছেন কিন্তু আমরা আকুল চেষ্টা করেও সেই পরিস্থিতি থেকে তাদের বের করে আনতে পারি না।
এমনই পরিস্থিতির মধ্যে অবস্থানরত আফগান ক্রিকেটার রশিদ খান। বর্তমানে তিনি খেলার সূত্রে ইংল্যান্ডে রয়েছেন। কিন্তু আফগানিস্তানের টালমাটাল পরিস্থিতিতে নিজের পরিবারকে নিয়ে চিন্তিত তিনি।
যে কারণে দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্ট খেলতে থাকলেও শঙ্কায় ও উৎকণ্ঠায় সময় কাটছে তার। সোমবার স্কাই স্পোর্টস কে এই তথ্য জানিয়েছেন ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ইংল্যান্ড ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন।
তিনি জানান ম্যাচ চলাকালীন ও ম্যাচ শেষে রশিদ খানের সঙ্গে আমার অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। সে তার দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে খুবই ঘোরের মধ্যে আছে। সে না পারছে দেশে যেতে, না পারছি সেখান থেকে নিজের পরিবারকে বের করে আনতে। এই কারণেই সে ম্যানচেস্টার অরজিনাল এর বিপক্ষে জয়ের পরও তেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
দু’দিন আগেই এক টুইটে রশিদ খান দাবি করেন, তার দেশ এখন বিশৃংখলার অবস্থানে রয়েছে। বিশ্ব নেতাদের কাছে তিনি আকুতি জানান যেন আফগানিস্তানের লোকেদের আর মারা না হয়। কয়েকদিনের ব্যবধানে পুরো আফগানিস্থান নিয়ন্ত্রণ করেছেন তালিবান।
কিন্তু অন্যদিকে রাশিদ খানের এমন বক্তব্যকে নাকচ করে দিয়ে তালিবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন বলেন, আফগান ক্রিকেটের ধ্বংস নয় বরং উন্নতি করতে চান তারা। শাহীনের দাবি, আফগানিস্তানে ক্রিকেট এনেছে তারাই। উর্দু নিউজ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালিবানের মুখপাত্র বলেন, “আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের খেলা নিজস্ব গতিতেই চলবে। অতীতের মতো এখনো আমরা ক্রিকেটের উন্নতি সাধনে কাজ করব। আমরা ক্ষমতায় থাকার সময়ই আফগানিস্তানকে ক্রিকেটের সাথে পরিচয় করিয়েছি। ক্রিকেটাররা আমাদেরই থাকবে ও দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।”
তার কথায়, “আমাদের তারকা খেলোয়াড় রশিদ খানকে দিয়ে যারা ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে সবাইকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। আমরা কখনও অশান্তি চাইনি আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে ছিলাম এবং তা দীর্ঘস্থায়ী করতে যা প্রয়োজন সমস্ত কিছুই করব।
শাহীন নিজেও নাকি একজন ক্রিকেট অনুরাগী। পাকিস্তান আফগানিস্তানের একটি ম্যাচে স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “তালেবান-সরকার ক্ষমতা থাকাকালিন মোল্লা আব্দুস সালাম জায়ীফকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের লড়তে দেখে বেশ আনন্দিত ছিলাম। সে ম্যাচে পাকিস্তান অল্প ব্যবধানে জিতেছিল।”