বিধানসভার পর এবার লক্ষ্য লোকসভা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হতে চলেছেন কি প্রধানমন্ত্রী?
ডেস্ক: রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতার সিংহাসনে বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার নির্বাচন প্রচার করবে হামেশাই জননেত্রীর মুখে এ কথা শোনা যায় “এক পায়ে বাংলা ও দু’পায়ে দিল্লি জয় করব।” অর্থাৎ বাংলায় ক্ষমতার আসন পাওয়ার পর এবার কি দিল্লিকে টার্গেট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তরই দিয়েছেন বহু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এবং এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি যুক্তিও দিয়েছেন তারা।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। এবং যশবন্ত সিনহা কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলে টেনে তৃণমূলের পায়ের নিচের জমি শক্ত করতে চেয়েছেন জননেত্রী। আবার নিকটেই একুশে জুলাই। গুঞ্জন আসছে সেই দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে হাত মিলাতে পারেন শত্রুঘ্ন সিনহা ও ভাইকো র মত বিশিষ্ট নেতারাও। এইরকম টাই যদি হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর দলবল নিয়ে দিল্লি পদার্পণ এর সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
আবার অন্যদিকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, বিজেপি তথা মোদীর উপযুক্ত বিরোধী হিসেবে দেশের অন্যতম প্রধান মুখ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতই সোশ্যাল মিডিয়াতে ও ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে চলছে প্রচার। তবে এ বিষয়টি নতুন কিছু নয় 19 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতের সমস্ত অঞ্চল থেকে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে ব্রিগেডের মঞ্চে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা। উপস্থিত হয়েছিলেন প্রায় বহু রাজ্যের অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী। উদ্দেশ্য ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত দল একজোট হয়ে লড়াই করার। কিন্তু এত কিছুর পরও পাওয়া যায়নি সান্তনা পুরস্কার। লোকসভা নির্বাচনের পরে দেখা যায় কেন্দ্রের ক্ষমতার অধীনে ফের বিজেপি সরকার। দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদী।
তবে এবারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে সমর্থন করেন অখিলেশ যাদব ও তেজস্বী যাদবের মতো ভিন রাজ্যের নেতারা। অনেকের মতে, হয়তো সেখান থেকেই মমতাকে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এখন থেকে তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।