ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতার আগুন লাগছে গোটা দেশ জুড়ে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে ঘোষণা করা চার বছরে এই চাকরীর বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার যুবক। এবার অগ্নিপথ ইস্যু নিয়ে বিধানসভায় চলছে হাঙ্গামা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অগ্নিপথ ইস্যুতে দেশের সেনা বাহিনীকে অপমান করেছেন এই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে করেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা।
‘সারাদেশে এভাবে আগুন জ্বালানো হচ্ছে। ৪ বছরের চাকরির নামে বিজেপি আসলে ক্যাডার তৈরি করতে চাইছে। ৪ বছর পর কী হবে কেউ জানে না। এটা সেনার চাকরি নয়। এই চাকরির ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, সেনাবাহিনী করেনি। ৪ বছরের চাকরি অথচ সবাই পেয়ে গেল বন্দুকের লাইসেন্স। এটা সেনাবাহিনীকে অপমান।’ এমনটাই বিধানসভায় অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করে বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ জানান, মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ শান্তির জন্য বিজেপিকে দায়ী করছেন যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে একটা কথা ও মাননীয়া বলেননি এখনো পর্যন্ত।
এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী স্কুল সার্ভিস কমিশনে অনেকে চাকরি যাওয়া নিয়েও মৌখিক আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উপর। তিনি বলেন, ‘যখন তিনি সরকারে ছিলেন তখন চাকরি দিয়েছেন আর সরকার থেকে এখন অন্য জায়গায় আছেন বলে চাকরি খেয়ে নেওয়ার কথা বলছেন। এটা ত্রিপুরা নয়। আমরা কারও চাকরি খেয়ে নেওয়ার পক্ষপাতি নই।’
ছবি শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, বেশ কিছু অবসরপ্রাপ্ত সেনার অফিসাররাও জানিয়েছেন চার বছরের আর্মি চাকরি কতটা দেশের ও যুব সমাজের পক্ষে লাভদায়ক হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ 4 বছর পর যারা সাধারণ জীবন যাপনে ফিরে আসবে তারা কি করে জীবন অতিবাহিত করবে। সাড়ে 17 বছর থেকে 21 বছর পর্যন্ত সময়সীমা একটি ব্যক্তির পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়তে তারা আগামী দিনে কি করবে তার জন্য প্রিপারেশন নেওয়া শুরু করে, তাদের পড়াশোনা সেই অনুযায়ী হয় কিন্তু সেই সময়তেই যদি ব্যক্তিটি অস্থায়ী সেনাবাহিনীর চাকরির ট্রেনিং এর দিয়ে দেয় তাহলে চার বছর পর সেই চাকরিতে যাওয়ার পরের মুহূর্তে সেই ব্যক্তিটি কিসের উপর ভিত্তি করে তার বাকি জীবনে উপার্জন করবে। এতে বেকারত্ব বাড়ার সম্ভাবনা আরও বেশি।