কোরোনা নিয়ন্ত্রণে এলেও স্কুল কলেজ খোলা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা

ডেস্ক: মহামারীর কারণে গত দুই বছর যাবৎ বন্ধ স্কুল কলেজ। সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও কবে থেকে স্কুল কলেজের পঠন-পাঠন পুনরায় শুরু হবে সে নিয়েও কোনো নিশ্চয়তা প্রকাশ করেনি রাজ্য সরকার। তবে কথা কত ছিল দুর্গাপুজোর পর খুলতে পারে রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু তার জন্যও ছিলো কিছু নিয়ম। ভালোই ছিল দুর্গাপুজোর পর কোরোনার তৃতীয় ঢেউ যদি না আসে বা সেইরূপ ভয়ঙ্কর না হয় তবেই খোলা হবে স্কুল।

কিন্তু বর্তমানে সেই নিয়ে এখনো রয়েছে ধোঁয়াশা। কোরোনা র পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনো পুরোপুরি তা নিরাময় হয়নি। তাই আপাতত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ সরকার। তবে মৌখিক ভাবে এখনও কিছু না বললেও শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছেন।

কোরোনার প্রথম ধাক্কায় দিন প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ হচ্ছিলেন আক্রান্ত। মৃত্যুমিছিল ও আতঙ্কিত করেছিল মানুষদের। সেই কারণেই 2020 র 30 শে জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর সেই থেকেই স্কুল কলেজ খোলেনি এখনো পর্যন্ত।

অনলাইনে পড়াশোনা ও পরীক্ষা চললেও সন্তোষজনক সেই রূপ লাভ হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের। এমনকি সঠিক পরিকাঠামোর অভাবে গ্রামাঞ্চলে পড়াশোনা প্রায় বন্ধই। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নুইয়ে পড়েছে রীতিমত। ঘরে বসে কতদূরই বা শিক্ষা সঠিক ভাবে লাভ করবে শিক্ষার্থীরা?

গতকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও করোনা মুক্ত নয় রাজ্যের কোন জেলাই। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সংগক্রমন ফের বাড়তে শুরু করেছে। রাজ্যজুড়ে গড়ে সাড়ে সাতশো ব্যাক্তি প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। এদিকে আর কদিন পরেই পুজো। অন্যদিকে চিকিৎসকদের অনুমান অনুযায়ী, চলতি মাসেই তৃতীয় ঢেউ ঢুকে পড়ার কথা দেশে। সব মিলিয়ে সংকটে স্কুল কলেজ খোলার সরকারি ইচ্ছা।

এই বিষয়ে আজ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, করোনা নিয়ন্ত্রনে এলেও নিরাময় হয়নি। তবে রাজ্য সরকার চাইছে দুর্গাপুজোর পর স্কুল খুলতে। আপাতত রাজ্য পরিস্থিতির বিচার বিবেচনা করছে। তবে মূল সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সবুজ সংকেত মিললেই স্কুল কলেজ খোলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও ওয়াকি বহাল মহলের ব্যাখ্যা, রাজ্য সরকার যদি করোনা নিরাময়ের অপেক্ষায় থাকে তাহলে চলতি বছরে স্কুল খোলার কোন সম্ভাবনা নেই।