কাজের প্রথমদিন থেকেই টুইটারকে ফেলছেন চাপের মুখে, “মানতে হবে আইন” দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

ডেস্ক: টুইটার ও কেন্দ্রের সংঘাত অব্যাহত। প্রত্যেকবারই কিছু না কিছু কারণে টুইটারের কে কোর্টের দ্বারস্থ করেছে কেন্দ্র। টুইটারকে দেশের আইন মানতে হবে। এই দাবিতেই বার বার হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। এবং এবারে এই দায়িত্ব প্রথম দিন থেকে কাঁধে তুলে নিলেন কেন্দ্রের নয়া আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আইটি মন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়া মাত্রই প্রথম দিন থেকে তার হুঁশিয়ারি, “দেশের আইনই শেষ কথা। টুইটার কে তা মানতে হবে।”

দেশে নতুন ডিজিটাল আইন জারি হওয়ার পর থেকেই টুইটারের সঙ্গে একাধিকবার সংঘর্ষ লেগেছে কেন্দ্র সরকারের। প্রথমে নতুন ডিজাটাল আইনের শর্ত গুলি টুইটার মানতে না চাইলেও পরে কেন্দ্রের শেষ নোটিশে এক প্রকার বাধ্য হয়ে শর্ত মানতে রাজি হয় জ্যাক ডোরসের সংস্থা টুইটার। কিন্তু শর্ত মত গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ করেনি টুইটার।

প্রথম গ্রিভেন্স অফিসার ধর্মেন্দ্র চতুর কেন্দ্রের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কারণ কেন্দ্র জানায় কোনো তৃতীয় পক্ষের ব্যক্তি এই স্থায়ী পদে থাকতে পারবে না। পরে এক মার্কিন কর্মচারী জেরেমি কেজেল কে এই পদের দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়। কিন্তু সমস্যা সেখানেও। কারণ নয়া ডিজিটাল আইন অনুযায়ী এই পদে কোনো ভারতীয় কেই নিযুক্ত করতে পারবে।

এই ঘটনার পর আদালতে টুইটার জানায়, 8 সপ্তাহের মধ্যে তারা গ্রিভেন্স অফিসারের পদে স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ করবে। এবং 11 ই জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হবে, একথাও জানিয়েছে তারা। বিশ্লেষকদের মতে, প্রথম দিন থেকেই অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইটার কে চাপের মধ্যে রাখছেন তাতে কেন্দ্রের হয়ে দায়িত্ব সহকারে পদক্ষেপ নেবেন তিনি, এটা আশা করা যায়। অশ্বিনী বৈষ্ণব আইটি ছাড়াও রেল মন্ত্রকের দায়িত্বেও রয়েছেন। তিনি ওড়িশার রাজ্যসভার সাংসদ ও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *