বিধানসভার বিএ কমিটির বৈঠক বয়কট করলো বঙ্গ বিজেপি, তাদের দাবি “কথা বলারই যখন অধিকার নেই, তখন বৈঠকে থেকে কি হবে?”

ডেস্ক: একুশের নির্বাচনের পর যবে থেকে বিজেপি রাজ্যের অন্যতম প্রধান বিরোধদল হিসাবে রাজ্য সরকারের বিপরীতে আসে তবে থেকে এই দুই দলের মধ্যে খুঁটিনাটি বিষয় অসন্তোষ লেগেই রয়েছে। রাজ্য সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের কুৎসা করা বেশ ভালো গুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপির। এটা আলাদা ব্যাপার যে দেশের দায়িত্বে বিজেপি সরকারই আছে তাও কোথাও উন্নতির ছিটেফোঁটা ও নজরে আসেনি। অথচ মানুষ দিন দিন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে এই দলের বিরুদ্ধে।

ফেরা যাক প্রসঙ্গে, ভোট পরবর্তী হিংসা ও ভুয়ো টিকা কাণ্ড নিয়ে বার বার বিদ্বেষ জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি ও বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শুভেন্দু অধিকারী। দুই বিষয় নিয়ে বিধানসভায় মুলতবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বৃহস্পতিবার এই দুই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয় বঙ্গ বিজেপি দল। প্রত্যেক বারই শুভেন্দু অধিকারী এই অভিযোগ হেনেছেন যে বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের কথা বলার অধিকার দেওয়া হয় না।

এবং এবারেও একই অভিযোগ তুলে বিএ কমিটির বৈঠক বয়কট করেছে বঙ্গ বিজেপি। এই বৈঠকটি বিধানসভার কর্মসূচি ঠিক করার জন্য আয়োজন করা হবে। বৈঠকে কোনো বিজেপি বিধায়ক উপস্থিত থাকবেন না বলে জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি দল। তাদের দাবি, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করছে তৃণমূল সরকার, কথা বলার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।

এদিন অধিবেশনের শুরুতেই ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনেন বিজেপি। কিন্তু বিধানসভায় তা খারিজ হয়ে যায়। এর আগেও ভোট-পরবর্তী হিংসা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেছিল। এ ঘটনার পরেই গেরুয়া শিবির বিএ কমিটির বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা জানায়, কথা বলারই যখন অধিকার নেই, তখন বৈঠকে থেকে কি হবে?

আজকের বিধানসভা অধিবেশনে বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী ও বিধায়িকা শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, রাজ্যশাসনের দিকে প্রশ্ন তোলে। অশোক লাহিড়ীর মতে, রাজ্য বাজেটে বিভ্রান্তি রয়েছে। সরকার প্রকল্পগুলিতে দুর্নীতি হচ্ছে। কন্যাশ্রী রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা কারা পেয়েছে সেই তালিকা প্রকাশ করতেও বলেন তিনি। তার কথায়, “মানুষ শুধুমাত্র ত্রাণ চান না। চান পরিত্রান।”

অন্যদিকে শ্রীরূপা মিত্র বলেন, “শিল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে নিশ্চয়তার অভাব রয়েছে এবং রাজ্যে নিয়োগের অভাব রয়েছে।” তার মতে, পশ্চিমবঙ্গ দৈনিক মজুরি আইন অনুযায়ী একজন অদক্ষ শ্রমিকের থেকে কম মজুরি পান রাজ্যের আইসিডিএস, আশাকর্মী এবং প্যারা টিচাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *