ডেস্ক: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। একাধিকবার দ্বারস্থ হয়েছে হাইকোর্টের। যদিও হাইকোর্টের রায় গেরুয়া শিবিরের পক্ষেই বেরিয়েছে। এবং CBI তদন্তের জন্য নির্দেশ ও দেয়। কিন্তু তার মাঝেও পশ্চিমবঙ্গে আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে মানুষ।
শুক্রবার বঙ্গ বিজেপির শহীদ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ঘাটালের বীরসিংহে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গ বিজেপির সহ সভানেত্রী ভারতী ঘোষ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ডঃ সুভাষ সরকার। অনুষ্ঠানে ফেরার সময় এক বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা করে এক ব্যক্তি। মারধর করায় গুরুতর আহত হন সেই ব্যক্তি। ফলে তাকে ঘাটাল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে আহত ব্যক্তির সাথে দেখা করতে যান ভারতী ঘোষ। সূত্রে জানা যায়, হামলাকারী ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী। দলীয় হিংসার কারণেই আক্রমণ করা হয়েছে বলেই ধরনা করা হয়ছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা ব্যক্তিদের কথায়, বিজেপি কর্মীটি দলীয় পতাকা লাগাতে যাচ্ছিল, আর সেই সময়ই আচমকাই হামলা হয় তার ওপর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা হাইকোর্টে তোলার পর থেকেই একাধিক বার অস্বীকার করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু আদালত শেষে এনএইচআরসি (NHRC) র রিপোর্টেরই মান্যতা দেয়। বৃহস্পতিবার পোস্ট-পোল ভায়োলেন্স সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টে বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। সেখানেই তিনি নির্দেশ দেন আইপিএসদের নিয়েই সিট গঠনের জন্য। সাথে সিবিআইকে তদন্তভার তুলে দেওয়ার নির্দেশ ও। তবে গোটা বিষয়টির তদারকি করবে আদালত। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। সে ক্ষেত্রে যাতে দুর্নীতি না হয় এবং বিতর্ক এড়াতে টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের। এবং ছয় সপ্তাহের মধ্যেই এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এ কথা স্পষ্ট রাজ্য সরকার বড়োসড়ো ধাক্কা খেয়েছে।