বিভ্রান্তিকর তথ্য লোকসভায় পেশ করার অপরাধে নুসরাতের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষকে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ

ডেস্ক: আরও এক সমস্যার মুখে তৃণমূলের অভিনেত্রী সাংসদ নুসরাত জাহান। বেশ কিছুদিন ধরে বিতর্কে জড়িয়ে নুসরাত। যেখানে তিনি গর্ভবতী হওয়ার সংবাদ নিজেই সোস্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করার পরেই তার স্বামী নিখিল জানায় গত ছয় মাস যাবত তারা আলাদা থাকছেন। তার সাথে নুসরাতের কোনো যোগাযোগ নেই। এই সন্তান তার না।

সেখানেই এই প্রসঙ্গে এক বিবৃতি দিয়ে নুসরাত দাবি করেন যে তার ও নিখিলের বিয়ে বৈধ নয়। তাদের কোনো রেজিস্ট্রেশন হয়নি। নিখিল ও তার তুরস্কে বিয়ে হয়েছিল সেখানের নিয়ম-রীতি মেনে। যা ভারতীয় আইনে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট এর আওতায় পড়েনা। তারা নাকি বৈবাহিক সম্পর্কে না বরং লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। তিনি আরো জানান, “আমার আইনত তো বিয়ে হয়নি। তাই বিবাহবিচ্ছেদের প্রশ্ন উঠছে না। আমরা অনেকদিন ধরেই আলাদা থাকছি।”

এবং তার এই বিবৃতিই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ালো। যদি তার বিয়েই না হয়ে থাকে তবে লোকসভায় নিজেকে বিবাহিত হিসাবে পরিচয় দিলেন কেন?

এবং সেই প্রশ্নের পরিপেক্ষিতে মঙ্গলবার লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর বিজেপি সাংসদ সঙ্ঘমিত্রা মৌর্য। তার দাবি লোকসভায় ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে নুসরাতের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

বিজেপি সাংসদ সঙ্ঘমিত্রা মৌর্য মনে করিয়ে দেন, লোকসভায় শপথ নিতে এসে নিজেকে নুসরাত জাহান রুহি জৈন নামে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। কার কপালে ছিল সিঁদুর, যা বিয়ের চিহ্ন। শুধু তাই নয় লোকসভার জমা দেওয়া হলফনামায় ও নিজেকে বিবাহিত বলে পরিচয় দিয়েছিলেন নুসরাত। স্বামীর নাম হিসেবে তিনি লিখেছিলেন নিখিল জৈন। সেই কারণেই বিজেপি সাংসদ এর দাবি সাংবাদিকদের দেওয়া বিবৃতি ও লোকসভার হলফনামার মধ্যে কোনো মিল নেই এভাবে লোকসভায় ভুল তথ্য দেয়া বেআইনি ও অনৈতিক। তাই এমন বিভ্রান্তির কর তথ্য দেওয়ার অপরাধে নুসরাতের বিরুদ্ধে জেনো দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *