প্রেমিকা বৈশাখীর, শোভনের সঙ্গ উডবার্ন ওয়ার্ডে ও না ছাড়া আবদারে নাজেহাল চিকিৎসকেরা

ডেস্ক: মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায় কে।গতকালের বেসামাল পরিস্থিতিতে শরীরের অবনতি হয়েছে তার।
গ্রেপ্তারি খবর শুনে ছুটে এসেছিল শোভনের প্রাক্তন স্ত্রী রত্না দেবী। সকাল থেকে খোঁজ পাওয়া যায়নি প্রেমিকা বৈশাখীর।

কিন্তু হঠাৎ করেই সিবিআই দপ্তর নিজাম প্যালেস থেকে রাত ১ টার পর যখন শোভন কে বের করে আনা হয়, তখন তার এক পাশে ছেলে সপ্তর্ষির সাথে অন্য পাশে দেখা মিলেছে বৈশাখীর। সারাদিনে এই প্রথমবার দেখা গিয়েছিল তাকে। এরপর সংশোধনাগার অব্দি সঙ্গী ছিলেন শোভনের।

কিন্তু সংশোধনাগারের ভেতরে ঢুকতে না দেওয়ায় হাপুস নয়নে কেঁদে ভাসান বৈশাখী। “এটা কি চলছে! শোভন চ্যাটার্জি বাড়ির লোক কেন ঢুকতে পারবে না আমি উত্তর চাই!”- এই বলে চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন বৈশাখী। মধ্যরাতে এক নাটকীয় মুহূর্ত তৈরি হয় আলিপুর সংশোধনাগারের সামনে।

সূত্রে জানা যায় মঙ্গলবার ভোরে ফের এসএসকেএমের উডবার্ন পৌঁছে যান বৈশাখী। শোভন চ্যাটার্জীর 106 নম্বর কেবিনের পাশে ভর্তি হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন বৈশাখী। তাকে সামলাতে হিমশিম খেয়ে যায় চিকিৎসকেরা। রোগী দেখা ফেলে বৈশাখীর বায়না সামলাতে ব্যস্ত ডাক্তাররা। বিষয়টি এতটাই গম্ভীর হয়ে পড়ে যে ওয়ার্ডের হেল্পডেস্ক পর্যন্ত খবর পৌঁছে যায়।

সেখান থেকে তাকে বোঝানো হয় হাসপাতালে কিছু নিয়ম আছে, কিছু প্রটোকল আছে। এভাবে উডবার্ন ওয়ার্ডে কাউকে ভর্তি করা হয় না। প্রথমে তাকে এমার্জেন্সি তে যেতে হয়। সেখান থেকে টিকিট ইস্যু হলে রোগী যদি টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাতে চান তাহলে বিশেষ কেবিনে থাকার সম্মতি দেওয়া হয় তবে সে ক্ষেত্রে শারীরিক অসুস্থতার থাকা জরুরি। কিন্তু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় না তো ভিআইপি না তিনি অসুস্থ। তাহলে তাকে কেনো একটা কেবিনে ছেড়ে দেওয়া হবে তা বুঝে উঠতে পারছে না ডাক্তাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *