ডেস্ক: জম্মুর বায়ুসেনা বিমানঘাঁটিতে হয় জোড়া বিস্ফোরণ। শনিবার রাত 1 টা 37 মিনিটে এবং তারপরেই 1 টা 47 মিনিটে কঠোর নিরাপত্তাকে ফাঁকি দিয়ে বায়ু সেনা বিমান ঘাঁটিতে প্রবেশ করে শক্তিশালী ড্রোন। বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আহত হন দুই বায়ুসেনা আধিকারিক। বর্তমানে তারা আপাতত সুস্থ। এই হামলার কারণে বায়ুসেনার অন্দরে বেড়ে চলেছে চিন্তা। এখনো পর্যন্ত মেলেনি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ।
যার অর্থ হামলা চালিয়ে নির্বিঘ্নে ঘাঁটিতে ফিরে গেছে ড্রোন দুটি। ফলত এর থেকেই আন্দাজ করা যায় এই ড্রোন গুলি নিম্নমানের না। যথেষ্ট শক্তিশালী ড্রোনের মাধ্যমে করা হয়েছে হামলা। প্রাথমিক তদন্তে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের বম্ব সেন্টারের বিশেষজ্ঞদের অনুমান, প্রতিটি বিস্ফোরণে দুই কিলোগ্রামের বেশি বিস্ফোরক ব্যবহার হয়েছে। আরডিএক্স বা ওই জাতীয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরকের মাধ্যমে হামলা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান।
তদন্তকারীদের প্রথমে মনে হয়েছিল জম্মু বিমানঘাঁটি র কাছাকাছি কোনও এলাকা থেকে বোমারু ড্রোন ওড়ানো হয়েছিল। জম্মুর যে অংশে বায়ুসেনা নিজেদের শিবির গঠন করেছিল সেখান থেকে পাকিস্তানের আকাশ সীমানার দূরত্ব মাত্র 14 কিলোমিটার। সুতরাং সেখান থেকেও হামলাটি করার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের কাছে এমন শক্তিশালী ড্রোন আছে বলে কোন খবর পাওয়া যায়নি। ফলে সন্দেহের কাটা ঘুরেছে চীনের দিকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জম্মু বিমানঘাঁটির হেলিকপ্টার হাঙ্গারের কাছেই হয় রবিবার বিস্ফোরণ। হাঙ্গরে ছিল এম-17 কপ্টার ও পণ্যবাহী বিমান। 22 বায়ুসেনা কর্মী আকাশ থেকে বোমা পড়তে দেখেছেন বলে সূত্রে জানা যায়। ফলে তাদের মধ্যে সন্দেহ জাগে তাহলে কি বায়ুসেনার হেলিকপ্টারকে টার্গেট করেই করা হয়েছিল এই হামলা?
ইতিমধ্যে হামলার দিনই নরবাল থেকে আইডি সহ গ্রেপ্তার হয়েছে লস্কর-ই-তৈলার নামে এক জঙ্গি। ফলে আরও জোরালো হচ্ছে পাক যোগের সম্ভাবনা।
রবিবার রাতেই পুলওয়ামার স্পেশাল পুলিশ অফিসার ফয়াজ আহমেদের বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায় জঙ্গিরা।