ডেস্ক: ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ এর দুপুর আনুমানিক ১২৪৫ ঘটিকায়, নদিয়া জেলার সীমান্তবর্তী বিলমাথপাড় (হালদারপাড়া) গ্রামে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স, ৫৪ ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি বিজয়পুরের জওয়ানরা জোরালো সংবাদের ভিত্তিতে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে, ৮২.৬৮ লাখ টাকা মূল্যের চারটি সোনার বিস্কুটসহ এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। বাজেয়াপ্ত সোনার বিস্কুটের মোট ওজন ১৫৯০ গ্রাম।
বিএসএফের হাত থেকে চোরাচালানকারীকে উদ্ধার করতে ভিড় জড়ো, ছত্রভঙ্গ করতে বিএসএফ বাতাসে গুলি চালায়
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স অধীর হালদার নামক ওই তস্কর কে হাতেনাতে ধরে ফেললে, তাকে উদ্ধার করতে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয় এবং তাকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে বি এস এফের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। তখন সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ন্ত্রণহীন জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য বাতাসে গুলি ছোড়ে এবং সোনার বিস্কুটসহ পাচারকারীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি নদীয়া জেলার সীমান্ত গ্রাম হালদারপাড়ার, বালমাথপাড়ের বাসিন্দা, যার নাম অধীর হালদার, বয়স ৫৫ বছর , যে মৃত লালু হালদারের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদে অধীর হালদার জানায়, সে ওই সোনা রবি নাথ বিশ্বাস, পিতা – পরিতোষ বিশ্বাস, গ্রাম বিজয়পুর থেকে নিয়েছিল এবং মাজদিয়ার বাসিন্দা সঞ্জিত বিশ্বাসের কাছে হস্তান্তর করতে যাচ্ছিল। সে আরও জানায়, গত দুই মাস ধরে সে চোরাচালানের কাজ করছে।
আটককৃত ব্যক্তিকে জব্দকৃত সোনা সহ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাস্টম বিভাগ, বানপুরে হস্তান্তর করা হবে।
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং ডিআইজি সুরজিত সিং গুলেরিয়া বলেন যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ করতে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। যার কারণে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা চরম বিপাকে পড়ছে। পাচারের উদ্দেশ্য আগ্রহী চোরাকারবারিদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, চোরাচালানকারীদের প্রতিটি বেআইনি কার্যকলাপের গতিরোধ করতে বিএসএফ সদস্যদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যাতে চোরাকারবারিদের প্রত্যেক পরিকল্পনা নস্যাৎ করা যায়। চোরাকারবারিরা ক্রমাগত ধরা পড়ছে, এবং তারা আইন অনুযায়ী শাস্তিও পাচ্ছে।