বিএসএফ আইসিপি পেট্রাপোলে ওষুধের একটি বড় চালান সহ পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে

ডেস্ক: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখে ১৭৯ ব্যাটালিয়ন, সেক্টর কলকাতার জোয়ানরা প্রত্যহ রুটিনের অংশ হিসাবে আইসিপি পেট্রাপোলের ভিতরে যানবাহন চেকিং অভিযান পরিচালনা করছিল। প্রায় ১৯৪৫ টার দিকে অনুসন্ধান দল রপ্তানি দ্রব্য ছেড়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে আসা একটি সন্দেহজনক ট্রাক (Regd. No. WB 25 H 1914) কে আইসিপি প্রধান ফটকের কাছে (বেনপোল) থামায় এবং বিএসএফের গেজেটেড অফিসার, কোম্পানি কমান্ডার এবং অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিতিতে চালকসহ ট্রাকটিকে তল্লাশি করে। তল্লাশিকালে ট্রাকের কেবিনের ভেতর থেকে ১৩ টি ছোট ছোট প্যাকেট উদ্ধার করে। ফলস্বরূপ, উল্লিখিত প্যাকেটগুলি খুললে প্রচুর পরিমাণে ক্রনিক লিম্ফোসাইটিক লিউকোমিয়া – ১১ প্যাকেট এবং হার্নিক্স-০২ প্যাকেট (হার্নিক্স) ওষুধ এবং কিছু ধাতব জিনিস উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত ওষুধ এবং ট্রাকের মোট মূল্য আনুমানিক ১৩,৮৬,০০০/- টাকা। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের কর্মীরা শীঘ্রই ট্রাকটি জব্দ করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চালককে হেফাজতে নেয়।

ধৃত ট্রাক চালকের পরিচয় অভিজিৎ ঘোষ, দুর্গাপুর, পশ্চিমবঙ্গ বলে প্রকাশ হয় । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিজিৎ ঘোষ জানায়, সে নিয়মিত রপ্তানি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে (বেনাপোল) যায়। সে রপ্তানি পণ্য নিয়ে ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে গিয়েছিল। সে আরও জানায়, ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে (বেনপোল) পণ্য খালাস করে ভারতে ফিরছিল, সে সময় আইসিপি বেনপোলে (বাংলাদেশ) আবদুল রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তি তাকে ওষুধের ওই প্যাকেট দেয়। যা বনগাঁর (ভারত) নাজমুল নামে এক ব্যক্তিকে দেওয়ার কথা ছিল, যার জন্য সে ১০০০/- টাকা পেত। চোরাকারবারি ট্রাকের কেবিনে লুকিয়ে এসব সামগ্রী ভারতে আনার চেষ্টা করছিল বলেও স্বীকার করেছে ।

আটককৃত ট্রাক চালককে জব্দকৃত মালামালসহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পেট্রাপোল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক জানান, কাস্টমস আধিকারিকদের ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডার সংস্থা পেট্রাপোলে আমদানি-রপ্তানি যানবাহন এবং যাত্রীদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের আড়ালে চোরাচালান রোধে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অফিসার বলেন যে আইসিপি পেট্রাপোলের মাধ্যমে সীমান্তে অপরাধ সংঘটনের হীন উদ্দেশ্য থাকা দুর্বৃত্তদের উপর বিএসএফ কর্মীরা ক্রমাগত নজর রাখছে।