গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান সূচনা বোধগয়াতে

ডেস্ক: গতকাল ছিল বুদ্ধপূর্ণিমা। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান সূচনা হল বোধগয়াতে। ২২ মে অনুষ্ঠানে সূচনা হয়। গৌতম বুদ্ধের ২৫৬৮ তম আবির্ভাব বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠান। বুধবার এই অনুষ্ঠানটির সূচনা হয় ক্ষীর উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ মহাবোধি মহাবিহারে থাইল্যান্ডের কনসুলেট জেনারেল সিরিপর্ন তাতিয়াথেপ উপস্থিত ছিলেন। তিনিই গৌতম বুদ্ধের শান্ত সমাহিত মূর্তির সম্মুখে ক্ষীর অর্পণ করেন। প্রসঙ্গত, উপাসিকা পাপশ্চরণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সিরিপর্ন তাতিয়াথেপ। চলতি বছরে বুদ্ধ জয়ন্তীর মূল উদ্যোক্তার ভূমিকায় তারাই ছিলেন। এই দিন বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের বোধগয়াতে নিয়ে আসার জন্য একটি বাসের ব্যবস্থাও করা হয়। বাসের ব্যবস্থা করেন মহাবিহারের মুখ্য সন্ন্যাসী ভিক্ষু চলিন্দ ও বোধগয়ার ব্যবস্থাপনা পরিষদ। গয়া জংশন থেকে বোধ গয়া আসার জন্য এই বিশেষ বাস পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে সুদীর্ঘ বুদ্ধমূর্তির পাদদেশ থেকে মহাবিহার পর্যন্ত একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই শোভাযাত্রাটিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আর্লেকর। প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন চলতি বছরে। এদের মধ্যে দেশীয় নাগরিকরা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছেন বিদেশিরাও। প্রসঙ্গত, ফুকেত থেকেও একটি ডেলিগেশন এসে পৌঁছেছে বোধগয়ায়। সেই দলে ৭০ জনের বেশি সদস্য রয়েছে ওই দেশের নানা প্রান্তের।

বিটিএমসি তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে অতিথিদের থাকা খাওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করেছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। খাবার ও থাকার জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে অতিথিদের জন্য। অন্যদিকে কালচক্র মাঠে এই সমস্ত আয়োজন করা হয়। যা মহাবিহার থেকে ২০০ মিটার উত্তর পশ্চিম দিকে অবস্থিত। একই সঙ্গে সেখানে মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।

ট্রাফিক ব্যবস্থায় বদল আনা হয়েছে। এবার পুলিশের সিনিয়র সুপারিনডেন্ট আশিষ ভারতী টাইমস অব ইন্ডিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বোধগয়ার জন্য আলাদাভাবে একটি যানবাহন চলাচলের পরিকল্পনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছে। যাতে পুণ্যার্থীরা নিরাপদে অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে পারেন।