ডেস্ক: সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত নারদ কান্ডে অভিযুক্ত রাজ্যের রুলিং পার্টি হেভিওয়েট নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চ্যাটার্জি কে তোলা হয়েছে আজ কোর্টে। সেখানে সিবিআই আধিকারিকরা সমস্ত আঁটঘাট বেঁধেই তৈরি হয়ে এসেছেন এই ৪ অভিযুক্তদের কোণঠাসা করতে।
৫৩ পাতার চার্জশিট পেশ করে বিচারকের হাতে যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ম্যাথু স্যামুয়েলের স্ট্রিং অপারেশন এর সেই ভিডিওর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ। একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ব্যবসায়ী সেজে স্ট্রিং অপারেশনটি করেছিল ম্যাথু স্যামুয়েল। যেখানে দেখা গিয়েছিল রাজ্যে একাধিক নেতা মন্ত্রী বেআইনিভাবে টাকা নিয়েছেন। চার্জশিটে বলা হয়েছে কোন পরিস্থিতিতে তারা টাকা নিয়েছে? সেই টাকা কোথায় জমা করেছেন? কাদের মাধ্যমে তা হয়েছে? সেই সংক্রান্ত সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়েছেন।চার্জশিটে যেমন ভিডিও ফুটেজ কে হাতিয়ার করেছে সিবিআই তার পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ কেও সঙ্গে নিয়ে গোটা মামলাটিকে সাজিয়েছে তারা।
তবে সিপিআই এর প্রধান লক্ষ্য ফিরহাদ হাকিম এর দিকে, ২০১৪ সালের ২রা মে যে স্টিং অপারেশনটি করা হয়েছিল সেই তে দেখা গেছে শঙ্কর নায়ের নামে এক ব্যবসায়ী সেজে ম্যাথু স্যামুয়েল ফিরহাদ হাকিমকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। সেই মুহূর্তে ফিরহাদ হাকিম ডাক দিয়ে সেখানের চেতলা অগ্রণী ক্লাব এর জয়েন সেক্রেটারি শুভেন্দু সামন্ত ওরফে বাবুর হাতে টাকা টা দিতে বলেন। এবং তাকে নির্দেশ দেন সেই টাকাটি নির্দিষ্ট একাউন্টে জমা করতে।
চার্জশিটে উল্লেখ ছিল সিএফএসএল গান্ধীনগর ও সিএফএসএল চণ্ডীগড়ের এই ভিডিওর ভয়েস নমুনা পরীক্ষা করা হয়ছিল। যার রেজাল্ট অনুযায়ী প্রমাণিত হয়েছে কণ্ঠস্বরটি ফিরহাদ হাকিমেরই।
এছাড়াও তার পাশাপাশি তথ্য প্রমাণ হিসেবে সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করে, ওই টাকা চেতলা অগ্রণী ক্লাবের একটি একাউন্টে জমা পড়ে এবং সেটি ডিপোজিট হয়ছে চেন্নাইয়ের ওয়েল উইশার নামে। এই মামলায় ৬১ জনের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়েছে সিবিআইয়ের দাবি জনপ্রতিনিধি হিসেবে তারা ঘুষ নিলেন কিভাবে? দুর্নীতি দমন আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক!