ডেস্ক: নমো র কেবিনেটে যেমন বাংলার 4 নতুন সাংসদ জায়গা পেয়েছে তেমনই বাতিল হয়েছে 2 দুই পুরনো সাংসদ ও। 2019 এর লোকসভা ভোটের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিল বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী। কিন্তু নতুন ক্যাবিনেট সম্প্রসারণে বাদ পড়ে এই দুই সাংসদ। ইস্তফা চাওয়া হয় তাদের থেকে।
এই ঘটনার পরই বাবুল ফেসবুকে পোস্ট করেন তাকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে, তাই দিয়েছেন। বাবুলের এই মন্তব্য গুঞ্জন তৈরি করে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এমনকি বাবুল সুপ্রিয়র ইস্তফাকে কটাক্ষের সুর দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার ইকোপার্কে হওয়া সভায় বাবুল প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বললেন, ” মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেতে হতো রোজ। এখন বাবুল হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন।”
তিনি আরো বললেন, “বাবুল সক্রিয় মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু মন্ত্রী থাকাকালীন তো মুখ্যমন্ত্রী কোন গালি মন্দ করেননি। ছাঁটাই হওয়া 12 জনের কেউ তো এইভাবে পোস্ট করেননি।” আরও কড়া ভাষায় বলেন, “তাকে যদি বরখাস্ত করা হতো, সেটা ভালো হতো কি?”
আর এই রকম মন্তব্যের পরই বাবুল সুপ্রিয় উত্তরে জানান, “দিলীপ ঘোষের কান ভাঙানো হয়েছে আমার বিরুদ্ধে। আমি ফেসবুকে যে পোস্টটা করেছিলাম, ও ব্যাপারটা বুঝতে পারেনি। মনে হয় ও নিজে পোস্টটা পড়ে নি। কেউ পড়িয়ে শুনিয়েছে।তাতেই এরকম!”
কিন্তু এসবের মাঝে দিলীপ ঘোষ বাবুল সুপ্রিয়র ব্যাপারে ইতিবাচক মন্তব্য ও করেন যেখানে তিনি বলেন, “বাবুল সক্রিয় মন্ত্রী ছিলেন”।
তবে দিলীপ ঘোষ শুধুমাত্র অল্প কথায় থেমে যাননি। তিনি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্যসাচী দত্ত কে কটাক্ষ করে বলেন, “অন্য গাছের ছাল। অন্য গাছের ছাল এনে লাগিয়েছিলাম। ছাল খুলে পড়ে গিয়েছে। চলে গেলে দলের কোনো ক্ষতি হবে না। পুরনো লোকেরা কাজ করে যাচ্ছেন।”