ভুয়ো ভ্যাকসিনের নামে প্রতারণার চেষ্টায় গ্রেফতার দেবাঞ্জন দেব, অভিযোগ দায়ের করে মিমি চক্রবর্তী
ডেস্ক: রাজ্য বেশ ক’দিন ধরে একটি বিষয়ে নজর কাড়ছে সকলের। যেখানে ভুয়ো ভ্যাক্সিনেশন দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয় দেবাঞ্জন দেব।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত মঙ্গলবার 23 শে জুন থেকে যেখানেই অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী কসবার 107 নম্বর ওয়ার্ডের উপস্থিত হয়েছিলেন একটি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প এ। যেটি আয়োজন করা হয়েছিল জয়েন্ট কমিশনের অফ কেএমসি’র উদ্যোগে। এভাবেই ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পটি থার্ড জেন্ডার এবং স্পেশাল চ্যালেঞ্জড মানুষদের জন্য আয়োজিত হয়েছিল। এবং সেখানে মিমি চক্রবর্তী কে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাকে বলা হয় তিনি এলে সেখানে সকলে অনুপ্রেরণা পাবে।
কথা মতো মিমি চক্রবর্তী সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং ভ্যাকসিন ও নেয়। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও তার ফোনে কোনো রকম মেসেজ আসে নি। এবং সার্টিফিকেট চাইলে তারা সেটি দিতেও পারেনি। পরবর্তীকালে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে কারোরই রেজিস্ট্রেশন হয়নি এবং কারোরই মেসেজ আসে নি। পরে সে বুঝতে পারে গোটা ব্যাপারটাই ভুয়ো।
তার পরই তিনি বিষয়টি অভিযোগ জানিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যে গ্রেফতার করানো হয় দেবঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তি কে। এবং আস্তে আস্তে বিষয়টি খোলাসা হতে শুরু করে যেখানে ব্যক্তিটি কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনারের ভুয়া পরিচয় দিয়ে নিজেকে আইএস দাবি করে। সাথে কলকাতা পুরসভার স্টিকার ও নীল বাতি দেওয়া গাড়ি ব্যবহার করে ব্যক্তি টি।
বর্তমানে দেবাঞ্জন এর উপর ভুয়ো পরিচয় পত্র তৈরি করা অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে 307 ধারার মামলা রুজ পরিকল্পনা চলছে।
জানা যায় কোভিশিল্ড ও স্পুটনিক ভি এর নামে অন্য সলিউশন দেওয়া হচ্ছিল। যা ভুলভাল কিছু থাকলে মানুষের ভয়ঙ্কর বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি যে প্রাণঘাতী ও হয়ে উঠতে পারত। এই সমস্ত জেনেও দিনের পর দিন দেবাঞ্জন এরকম অমানবিক কাজ করে গেছেন। কয়েক হাজার মানুষ সেই সলিউশন দেওয়া ভ্যাকসিন ধারণও করেছে নিজের শরীরে।
অন্যদিকে ভ্যাকসিনকাণ্ডে শনিবারই দেবাঞ্জনের তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের আলিপুর আদালতে তোলার নির্দেশ জারি হয়েছে। কড়া ধারা প্রয়োগ এর আবেদন করেছে কলকাতা পুলিশ।