প্রায় 50 জনের মত নিজের আত্মীয় দের ভুয়ো টিকাকরণের শিকার বানান দেবাঞ্জন ও তার অফিসের মালিক
ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে নতুন নতুন তথ্য সামনে বেরিয়ে আসছে ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন স্ক্যাম নিয়ে। এবারে ভুয়ো টিকাকরণের মামলায় গ্রেফতার করা হয় অশোক কুমার কে। অশোককুমার রায় সেই ব্যক্তি যার অফিস ভাড়া নিয়ে দেবাঞ্জন নিজের কর্মকাণ্ড চালাত। মাসিক 65 হাজার টাকার বিনিময় 2020 সালে কসবা তে অশোককুমার নামে এক ব্যক্তি একটি দোকান ভাড়া নেন দেবাঞ্জন।
সূত্রে জানা যায় অশোককুমার দেবাঞ্জন এর সাথে যুক্ত ছিলেন। এমনকি সব জেনেশুনেও অশোককুমার নিজের আত্মীয় ও বন্ধু মিলিয়ে মোট 50 জনকে ভ্যাকসিন দিয়েছিলেন। কোন কারণে তিনি এরকম ভুয়ো ভ্যাকসিন নিজেরই পরিবারের সদস্যদেরকে দিতে রাজি হন তিনি তার উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। অনেকে ধারণা করেন আর্থিক লোভে অশোককুমারের এরকম বিকারগ্রস্ত মানসিকতা দেখা যায়। অশোককুমার একটি প্রকাশনা সংস্থার সাথে যুক্ত ছিলেন।
ইতিমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত সুশান্ত দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুশান্ত এবং দেবার নিয়ম অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। শোভাবাজারের এক অ্যাড এজেন্সিতে কর্মরত ছিলেন সুশান্ত। এবং কসবার যে বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন দেবাঞ্জন, সেই বাড়ির মালিক অর্থাৎ অশোককুমারের হয়ে আগে কাজ করতেন সুশান্ত। সুশান্ত ঘোষ পরবর্তীকালে পুরসভা ডেপুটি ম্যানেজার এর পরিচয় নিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলেন। এবং পরবর্তীকালে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান তিনি।
কসবার অফিস রুমের খানাতল্লাশি করে পুলিশ উদ্ধার করে কোভিশিল্ডের এক হাজারের ওপর ভুয়ো লেভেল প্রিন্ট। এবং আরো কিছু লেবেল প্রিন্ট করার জন্য কম্পিউটারে তৈরি রাখা হয়েছিল গ্রাফিক্স। বাইরে থেকে পৃন্ট করালে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় অফিসেই দেবাঞ্জন কিনেছিলেন কালার প্রিন্টার। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে খুবই সতর্কতার সাথে নিজের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন দেবাঞ্জন বাবু।