ডেস্ক: একটানা 35 বছর বাংলায় শাসন কায়েম করলেও 2009 থেকে 2021 পর্যন্ত চারটি বিধানসভা নির্বাচনে ভয়ংকরভাবে পরাজিত হয় সিপিএম। এবং প্রতিটি নির্বাচনের ফলাফলের শেষে সিপিএম নেতাদের বলতে শোনা গেছে, আমরা মানুষকে বোঝাতে পারিনি! এবারে অক্ষরে-অক্ষরে সেই বক্তব্যই শোনা গেল দিলীপ ঘোষের গলায়।
শুক্রবার ইজেডসিসিতে বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কে সংবর্ধনা দেওয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে একথা বললেন দিলীপ ঘোষ। বর্তমানে তিনি সভাপতির পদ থেকে সহ-সভাপতি পদে স্থানান্তরিত হন। এই দিন অনুষ্ঠানে দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও উপস্থিত ছিলেন।
এই দিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে, তার দায় আমাদের। সিপিএমের মতো আমরা মানুষকে বোঝাতে পারিনি”। রাজ্যের মানুষ ভেবেছে বিজেপি ১৫০ আসন পাবে না। ওঁরা ১০০ আসন পাওয়ার মতো দল। তাই আমাদের সরকারে আনেনি। বিরোধী আসনে বসিয়েছে। বিরোধী আসনে থেকেও মানুষের কাজ করা যায়। আমাদের এখন সেটাই করতে হবে।”
তবে নিজের এবং নিজের দলের প্রতি আত্মবিশ্বাস জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, “আমরাই তৃণমূল সরকারকে রাস্তায় নিয়ে যেতে পারি। মানুষ যেদিন আমাদের যোগ্য মনে করবে, এবং আমাদের সরকার আসবে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হবে।” দলত্যাগীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, “ক্ষমতার লোভে যাঁরা এখান থেকে ওখানে গেছেন, আজ হোক, কাল হোক, তাঁদের রিজাইন করতে হবে।”
এবং ঠিক তারপরেই শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় কারণ নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করেন। যেখানে তিনি বলেন, রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে হলে বুথ স্তরে সংগঠন নিয়ে কাজ করতে হবে। বুথ স্তরে সংগঠন না থাকার জন্যই পরাজিত হয়েছে বিজেপি।
সাথে তিনিও দলত্যাগীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেন। যেখানে তিনি বলেন, অনেকে দল ছেড়েছেন। তাঁদের সদস্যপদ খারিজের দাবিতে আদালতে মামলা চলছে। ৭ অক্টোবর দলত্যাগীদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে। মুকুল রায়কে দিয়ে এই কাজ শুরু হবে। দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে সিপিএম, কংগ্রেস যা পারেনি, বিজেপি তা করে দেখাবে।