দেশে দ্বৈত মহামারী, জেনে নিন সংক্রমের হার, উপসর্গ ও চিকিৎসা

ডেস্ক: গোটা দেশ যেখানে মহামারীতে কাবু সেখানে আর এক নতুন রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে কোরোনা রোগীদের দেহে। মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামে এই ছত্রাকটি প্রথম দেখা গিয়েছিলো ব্যাঙ্গালোরের এক কোভিড ওয়ার্ডে।
সেখানে এক কোভিড পেশেন্ট এর মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। এই মারণরোগ পরবর্তী কালে মুম্বাইয়ের বেশ কিছু হাসপাতালে কোরোনা রোগীদের মধ্যেও দেখা যায়। সেখানে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। প্রায় মৃত্যু হয়েছে ৯০ জনের। ইতিমধ্যেই এই রোগকে মহামারী আখ্যা দিয়েছে রাজস্থান ও তেলঙ্গানা। এবারে এই মহামারীর সতর্ক বার্তা দিলো কেন্দ্র ও। প্রতিটি রাজ্য কে সচেতন করে এই রোগে আংক্রান্ত ব্যক্তিদের রিপোর্ট কেন্দ্র সরকারের কাছে পাঠানো নির্দেশ ও দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম স্বাস্থ্য সচিব লব আগরওয়াল চিঠি দিয়ে প্রতিটা রাজ্যকে জানিয়েছেন, যে প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে কিছু নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।

১. কোরোনায় আক্রান্ত, ডায়াবেটিক পেশেন্ট, হার্ট এর রোগী দের।

২. ইমিউনিটি পাওয়ার কম যাদের।

৩. ক্যান্সার পেশেন্ট, যারা মাস্ক বা ন্যাজাল ক্যানেলের মাধ্যমে অক্সিজেন সাপোর্ট এ আছেন।

৪. দীর্ঘদিন যাবৎ স্টেরোয়েড ব্যবহারকারি।

১. মুখ খুলতে বা খাবার চেবাতে অসুবিধা।

২. মুখের ভিতর, দাঁতের আশেপাশে ফুলে যাওয়া বা কালো ছোপ সৃষ্টি, দাঁত পরে যাওয়া।

৩. নাকের উপর কালো শক্ত ভাব কিংবা নাক থেকে অস্বাভাবিক ভাবে কালো তরল বা রক্ত বের হওয়া ।

৪. মুখে অসাড়বোধ ও শিরশিরানি অনুভব।

৫. মাথা বা চোখ ব্যাথা, চোখের চারপাশে ফোলা ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া,চোখ লাল হয়ে যাওয়া, অস্পষ্ট দেখা বা কিছুই দেখতে না পাওয়া, চোখ খুলতে না পারা।

১. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এমআরআই বা সিটি স্ক্যান।

২. নিয়মিত চিকিৎসা করা ফলো-আপ রাখা। সুগার মেইন্টেন করা।

৩. ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া কোনও স্টেরয়েড বা অ্যান্টি বায়োটিক কিংবা অ্যান্টি ফাঙ্গাল ওষুধ সেবন বন্ধ করা।

৪. কো-মর্ডিবিটি থাকলে, সেই রোগগুলির জন্য নিয়মিত চিকিৎসা ও ওষুধ সেবন।

৫. এছাড়া যদি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ দেখা যায়, তবে সাথে সাথে ইএনটি চিকিৎসক, আই স্পেশালিস্ট বা যে চিকিৎসকের অধীনে এতদিন করোনার চিকিৎসা চলেছে, তাঁকে জানাতে হবে।