বাড়ির পোষ্য কামড়ানোর পর নেয় ইঞ্জেকশন, তাতেই মৃত্যু হয় তরুনীর

ডেস্ক: ভুল চিকিৎসার কারণে মৃত্যুর সংবাদ বহুবার পেয়ে থাকি। এবারেও ভুল চিকিৎসার কারণে এক তরুনীর মৃত্যু নিয়ে পড়ে গেছে হইচই। লিলুয়া চকপাড়ার বাসিন্দা দীপশ্রী চক্রবর্তী। লাল বাবা কলেজের ইতিহাস স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী দীপশ্রী।

সূত্রে খবর, তরুণী কে বাড়ির পোষ্য কুকুরই কামড়ে ছিল। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জগদীশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার ঠিক পরেই প্রাণ হারায় দীপশ্রী। ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে মৃতের পরিবার ভাঙচুর চলায় হাসপাতালে। ঘটনাকে ঘিরে হাসপাতাল চত্বরে তৈরি হয় উত্তেজনা।

বৃহস্পতিবার সকালেই তাদের বাড়ির কুকুর তরুণীকে কামড়ায় বলে দাবি পরিবারের। এর পর সকাল 10 টা নাগাদ ভ্যাকসিন দেওয়ানোর জন্য জগদীশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তরুণীকে। ইঞ্জেকশন নেওয়ার আগে ডাক্তারের সামনে বমিও করে সে। কিন্তু পরিবারে কথা অনুযায়ী সেই দিকে গুরুত্ব না দিয়ে নার্স কে দিয়ে ইঞ্জেকশন দেওয়ানো হয় তাকে।

এবং তার পর থেকেই শুরু হয় বুকে ব্যাথা। বমিও করতে শুরু করে দীপশ্রী। একটা সময়ের পর জ্ঞান হারায় সে। সেসময় চিকিৎসকদের সাহায্য চাইলেও এগিয়ে আসেনি কেউ। অনেকবার ডাকার পরে ডাক্তার এসে জানায় সে মৃত। পরে হাওড়ার অপর একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও জানানো হয় একই তথ্য। মেয়ের হটাৎ মৃত্যুতে ভেঙে পরে দীপশ্রী র বাবা দেবব্রত চক্রবর্তী ও মা শিবানী চক্রবর্তী। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে তরুনীর আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যরা জগদীশপুর হাসপাতালে চালায় ভাঙচুর।

অন্যদিকে চিকিৎসার গাফিলতির কথা অস্বীকার করে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মন্ডল। তিনি জানান, “মেয়েটিকে বুধবার কুকুরে কামড়ায়। এদিন ভ্যাকসিন নিয়ে মেয়েটিকে কোনো এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তার বুকে ব্যাথা ও বমি হয়। মৃত অবস্থায় তাকে জগদীশপুর হাসপাতালে নিয়ে এলে তাকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসায় গাফিলতি হয়নি।”

তার দাবি, “কুকুরের কামড়ে বা ভ্যাকসিনের কারণে মৃত্যু হয়নি মেয়েটির। আগে থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত ছিল সে। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা না হওয়াতেই বৃহস্পতিবার হঠাৎই মারা যায় সে। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে।” হাসপাতাল সূত্রে খবর, ভাঙচুরের জন্য তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয়ার করেছে।