১৪ দফার বিধি মেনে হবে একুশের দুর্গোৎসব, জেনে নিন কি কি!

ডেস্ক: বাঙালির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত উৎসব দুর্গা পূজা এবারেও অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কড়া নিয়মবিধি মেনে। আগামী 11 ই অক্টোবর পঞ্চমী। তখন থেকেই মণ্ডপে ভিড় জমাতে শুরু করে দর্শনার্থীরা। কিন্তু প্রতিমা দর্শনের সুযোগ পেতে গেলে মানতে হবে বেশ কিছু গাইডলাইন।

গতবছরেও দুর্গাপূজা হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তখন কি কেউ ছিল না কিন্তু তার স্বত্তেও কোরোনা বিধি মেনে দুর্গাপুজো করছিল পুজো কমিটিগুলো। এবং সেই পুজো গুলি হওয়ার জন্য আর্থিক সহায়তা করেছিল রাজ্য রাজ্য সরকার। যেহেতু দূগা পূজার সাথে জড়িয়ে থাকে অনেকের উপার্জন সেই কারণে প্রতিটি মন্ডপ কে 50 হাজারের স্বল্প অনুদান দিয়ে আর্থিক সাহায্য করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূজাতে বন্ধ হয়ে না যায় সেই কারনেই ছিল এই প্রচেষ্টা। তাছাড়া গত বছর পুজো কমিটি গুলিকে পুরসভা বা পঞ্চায়েতকে কোনো কর দিতে হয়নি। সাথে লাগেনি ব্রিগেড ফায়ারের খরচও।

কলকাতায় ছোট-বড় কমিটি সহ রয়েছে প্রায় সাড়ে 400 পুজো কমিটি রয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব এর আওতায়। এবং প্রতিটি কমিটিকেই ফোরাম ফর দুর্গোৎসব এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে 14 দফা গাইডলাইন। এবং সে গাইডলাইন গুলি মেনেই পুজো করতে হবে কমিটি গুলিকে। এবং সেই গাইডলাইন গুলি অনুমোদন পেতে চলেছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এসমস্ত গাইডলাইন গুলিতে টিকা করনের ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। জেনে নিন কি কি থাকছে এই গাইডলাইনে।

ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের গাইডলাইন

 

★ পুজোর সঙ্গে যুক্ত কমিটির কর্মকর্তা থেকে ঢাকি পুরোহিত সকলেরই টিকাকরণ আবশ্যিক।

★মাস্ক, স্যানিটাইজার ও শারীরিক দূরত্বও বিধি মেনেই দর্শন করতে হবে প্রতিমা।

★মন্ডপ হতে হবে খোলামেলা। যাতে বাইরে থেকে প্রতিমা দর্শন ও মন্ডল দর্শনের সুযোগ থাকে।

★নৈবেদ্য থেকে বিসর্জন সমস্ত সবেতেই কোভিড বিধি বাধ্যতামূলক।

★সন্ধি পুজো ও সিঁদুরখেলায় রাখতে হবে শারীরিক দূরত্ব।

★কাটা ফল নয় গোটা ফলেই সাজাতে হবে নৈবেদ্য।

★পুজোর জৌলুস কমিয়ে জনহিতকর কাজের উদ্যোগ।

★প্রশাসনের সঙ্গে মিলে স্বেচ্ছাসেবকদের হতে হবে তৎপর। মণ্ডপে যাতে কোনভাবে ভিড় না হয় তার জন্য সুনিশ্চিত ব্যবস্থা করতে হবে।

তবে সাথে রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। সমস্ত রকম নিরাপত্তা মেনে চালাতে হবে সামাজিক উৎসব। ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, কলকাতায় দূর্গা পূজার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় 50-60 হাজার কোটি টাকার অর্থনীতি জড়িয়ে। এদিকে কোরোনার জন্য লকডাউন, তাতে অর্থনীতি বিপর্যস্ত, অন্যদিকে আমফান ও ইয়াসের ক্ষতি মানুষের জীবন কে জর্জরিত করে তুলেছে। পুজোর বাজার অর্থনীতির দিকে আশার আলো দেখাচ্ছে পুজো কমিটি গুলিকে। পরোক্ষভাবে প্রায় দেড় লক্ষ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয় কলকাতার দূর্গা উৎসবকে ঘিরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *