ডেস্ক: নীনা গুপ্তা বলিউডের অন্যতম প্রতিভাশীল অভিনেত্রী, সাথে একজন টেলিভিশন পরিচালক ও। আর্ট হাউজ এবং কমার্শিয়াল ছবিতে তিনি কাজ করে চলেছেন অনবদ্যভাবে। ১৯৯৪ সালে শুভঙ্কর ঘোষ পরিচালিত সিনেমা ‘woh chokri’ তে বিধবা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছিলেন তিনি।
কিন্তু তার জীবনে এই সময়গুলোতে অন্তর্ভুক্ত ছিল অনেক রকমের ওঠা পড়া। একাকিত্বের শিকার হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী ফলে বহুদিন মেন্টাল ট্রমার মধ্যে দিয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছিল তাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডের সাথে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন তিনি। কিন্তু সে সম্পর্ক টেকেনি শেষ পর্যন্ত। ভিভ রিচার্ডের সন্তানে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন তিনি। বিচ্ছেদের পর কন্যা মাসাবা কে একাই বড় করেছিলেন তিনি। প্রতি পদে পদে তাড়া করে বেড়াতে কর্মক্ষেত্র অসম্মানিত হওয়ার এক অজানা আশঙ্কা। মন হালকা করার মত পাশে পাননি কাউকে। বন্ধু হিসেবে একমাত্র তার বাবাই ছিলেন তার মাথার উপর। সিঙ্গেল মাদার হয়ে পালন করেছে মাসাবা’কে।
একাকীত্ব প্রতিমুহূর্তে গ্রাস করেছিল তাকে। প্রতিদিন মনের সাথে যুদ্ধ চলছিল তার। এক সাক্ষাৎকারে নীনা বলেন, “সারাজীবন ধরে এটাই চলছে, একটা লম্বা সময় জীবনে পুরুষ ছিল না। স্বামী নেই। পার্টনার? সেও নেই। বাবাই আমার বয়ফ্রেন্ড ছিলেন। তিনিই ছিলেন বাড়ির কর্তা।” কিন্তু তিনি একাকিত্বকে আঁকড়ে ধরে বসে থাকেননি। সেটিকে অতিক্রম করে নিজের লাইফে মুভ অন করেছেন। তিনি জানান, ঈশ্বর আমার ভুবন করার শক্তি জুগিয়েছে প্রতি পদে তাই অতীতের সঙ্গে যুদ্ধে জিতেছি।
একাকীত্বকে হারিয়ে জীবনে প্রতিষ্টিত আজ তিনি। মেয়ে মাসাবাও জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত। ২০০৮ সালে ব্যবসায়ী বিবেকের মেহরার সাথে বিয়ে হয় নীনার এবং তিনি শুরু করেন জীবনের এক নতুন পর্ব।
লন্ডন থেকে মুম্বাইয়ে আসার সময় এক বিমানযাত্রা আলাপ হয় নীনা’র। সেখান থেকেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক তারপরেই সম্পর্কটি পরিণতি পেয়ে সেটি প্রেম ও ২০০৮ সালে বৈবাহিক জীবনে আবদ্ধ হয় তারা।
কিন্তু কর্মসূত্রে দুজনকে প্রায়শই আলাদা থাকতে হয়। এক নীনা সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার স্বামী বিবেক দিল্লীতে থাকে, আমি থাকি মুম্বাইয়ে। গতবছর লকডাউনে প্রথমবার আমরা একসঙ্গে থেকেছি। স্বামী-স্ত্রীর মতো। জীবনে এই প্রথম ওকে জানার সুযোগ পেলাম আমি। বিবেকও আমাকে জানতে পেরেছে।” লকডাউনে অনেকটাই কাছে এসেছেন নিনা ও বিবেক। এবং তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন অনেকটা মূল্যবান মুহূর্ত।