অতিরিক্ত ঘামেন?? হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ!
ডেস্ক: ঘাম হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়ও। ঘামের মাধ্যমে আমাদের শরীরের থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম হলে সেটি ইঙ্গিত হতে পারে আপনার শারীরিক অসুস্থতার। অতিরিক্ত ঘামের কারণে আপনার দেহ থেকে কিছু প্রয়োজনীয় খনিজ বেরিয়ে যায়, ফলে শরীরে সোডিয়াম পটাশিয়ামের মাত্রা নেমে যায় অনেক সময়। এটি শরীরের তাপমাত্রাও কমে যায়।
কি কারণে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে?
ঘাম একাধিক কারণ থাকে, প্রথমত যাদের শরীরের মেটাবলিজম ভালো তাদের বেশি ঘাম হয়। অতিরিক্ত শরীর চর্চা করলে এবং নার্ভাস হলে তখনও ঘাম হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ও অতিরিক্ত ঘামের কারণ। এছাড়া উদ্বেগের কারণে ও রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়লে এবং মহিলাদের মেনোপজের পরবর্তী সময়ে ঘামের সমস্যা বেশি হয়।
বেশি ঘাম হলে যা করণীয়
যেহেতু ঘামের সঙ্গে সোডিয়াম, পটাশিয়াম বাই-কার্বনেট বেরিয়ে যায়, যার ফলে শরীর দুর্বল ও অস্থির হয়ে যায়, তাই জলের সঙ্গে নুন, চিনি, পাতিলেবু মিশিয়ে শরবত খেলে স্বস্তি পাওয়া যাবে। গরমকালে ডাব ও দইয়ের ঘোল খাওয়া যেতে পারে। ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স যুক্ত খাবার খান এবং কোল্ড্রিংসের পরিবর্তে ফ্রেশ ফ্রুট জুস ও টাটকা ফল খাওয়া চেষ্টা করুন।
ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে আয়ুর্বেদিক কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা ঐশ্বর্য সন্তোষ।
ঘাম নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রথমেই তিনি উপদেশ দেন তেল মশলাদার খাবার পরিমাণে কম খেতে হবে। এছাড়াও মিষ্টি এবং টক জাতীয় খাবার থেকে যতটা এড়িয়ে চলবেন ততটাই ভালো। সেই সঙ্গে তিনি বলেন অতিরিক্ত ঘামের মূল সমস্যা হলো পিত্ত দোষ। তাই তিনি বিশেষ একটি পানির পরামর্শ দিয়েছেন।
কিশমিশ জল- প্রতিদিন আট থেকে 10 টা কিশমিশ ভিজিয়ে রেখে সেই কিশমিশ ভেজানো জল খান এতে কিন্তু পেট পরিষ্কার থাকে এবং ঘামের সমস্যা হয় না।
ধনের জল- কড়াইতে ধনে শুকনো হাল্কা আঁচে নেড়ে নিয়ে সেটিকে গুঁড়ো করে রাখুন। এবং এক চামচ নিয়ে এক গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে তা ছেঁকে খেয়ে নিন এতে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে এবং কমবে ঘামের দুর্গন্ধ।
খুশের জল- গরমকালে পেট ঠান্ডা রাখতে খুশের জল বেশ উপকারী। এটিকেও সারারাত জলে ভিজে পরেরদিন সকালে ছেঁকে খেয়ে নিলে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যার থেকে রেহাই পাবেন।