ডেস্ক: আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা, তারপরই সেজে উঠতে চলেছে গোটা শহর। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়, সারা দেশে তো বটেই, বিদেশের মাটিতেও যেখানে বাঙালিরা একজোট হয়েছেন, সেখানেই হয়েছে মাতৃ আরাধনা।
গত দুই বছর যাবৎ মহামারীর জেরে দুর্গাপুজোর রঙ ফিকে হয়েছে ঠিকই, কিন্তু বাঙালির মন থেকে থামানো যায়নি পুজোর আনন্দ। শহরের বড়ো বড়ো ক্লাব গুলি প্রতি বছরই কিছু না কিছু অভিনবত্ব আনে পুজোতে। এ বছরও তেমনই অভিনবত্ব আনার প্রচেষ্টায় 66র পল্লী পুজোয় দারুন উদ্যোগ নিলো পুজো কমিটির মেম্বাররা। যা হতে চলেছে হিন্দুশাস্ত্রের নজিরবিহীন ও বিরল ঘটনা।
দূর্গা পূজোয় পৌরহিত্যের হাত ধরে হবে নারী জাগরণের সূচনা। রাসবিহারী অ্যাভিনিউ এর বিখ্যাত 66 পল্লী পুজোয় এবার পৌরহিত্য করবেন চার মহিলা পুরোহিত।
জানা যায়, গত বছর পুজোর অভিজ্ঞ পুরুষ পুরোহিতের মৃত্যুর পর পুজো কমিটির সদস্যরা চার মহিলা পুরোহিত দিয়ে পুজো করানোর সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে, বাঙালি বিয়েতে মহিলা পুরোহিতের চল শুরু হয়ছে। বিষয়টি যেমন অভিনব, তেমনই নারীর অধিকার ও ক্ষমতার বিকাশ ঘটেছে। এবারে দুর্গাপুজোয় মহিলা পুরোহিতের যোগদান ঘিরে পুজো কমিটির বরিষ্ঠ পদাধিকারী এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চারজন মহিলাই হলেন পণ্ডিত। যারা হিন্দুশাস্ত্রে অন্যতম উদাহরণ তৈরি করেছেন। প্রতিটি মহিলাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত, কেউ অধ্যাপিকা, কেউ আবার দেবীর উপাসক।
সাথেই জানান, নারী হওয়ায় পুজো করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এমন ভাবটা এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে তা শোভা পায় না। মহিলারা কি গৃহস্থ ও পুজোর নানান অনুষ্ঠানে সবরকম ব্যবস্থা করেন না? দেবী হিসেবে যাঁকে পুজো করছি, তিনিও একজন নারী, তেমনি বর্তমানে পুজোর মহিলা সংগঠক থাকতে পারে, তেমন মহিলা পুরোহিতে কেন নয়?
পাশাপাশি এ বছর মহিলা পুরোহিতদের অনুমোদন পেলেই আগামী বছরও মহিলাদের দিয়েই পুজো করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন কমিটি মেম্বাররা। এবং এ বছর তারা পুজোর থিমের নাম দেন “মায়ের হাতেই মায়ের পুজো”। যা তাদের চিন্তা ভাবনার সাথে যথার্থ।