ডেস্ক: ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত ১০ বছরে বিরোধীরা বারবার সংবিধান বদলানোর চেষ্টা করার অভিযোগ এনেছে বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারেও ইন্ডিয়া জোটের নেতা-নেত্রীরা সাবধান করেছিলেন এবারও যদি নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে সংবিধানের খোলনলচে বদলে দেবেন। ধ্বংস করবেন ভারতীয় সংবিধানের মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে। তাই নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে ফের ক্ষমতায় নিয়ে না আসার আবেদন তাঁরা জানিয়ে ছিলেন দেশের জনগণের কাছে।
৪ জুন ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরে দেখা যায়, দেশের মানুষ পুরোপুরি তাঁদের কথা না শুনলেও কিছুটা রাশ টেনেছেন বিজেপির বিজয়রথে। ভোটের আগে প্রচারে এবার ৪০০ পার করার ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির অন্যান্য শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের মুখেও সেই স্লোগান শোনা গেছিল বারবার। কিন্তু ফল প্রকাশ পাওয়ার পরে দেখা যায়, ৪০০ আসনের অনেক আগেই থেমে গেছে বিজেপি। তবে এনডিএর অন্যান্য জোট শরিকদের নিয়ে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসনের থেকে বেশিই রয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরের দিয়ে যাওয়া ভারতীয় সংবিধানের মহান মূল্যবোধের প্রতি নিবেদিত। এটা আমাদের সংবিধান, যার জন্য আমার মতো গরিব এবং পিছিয়ে পড়া একটি পরিবারে জন্ম নেওয়া মানুষও দেশকে সেবা করার সুযোগ পায়। এটা আমাদের সংবিধান, যার জন্য আজ কোটি কোটি দেশবাসী আশা, শক্তি ও মর্যাদাপূর্ণ একটা জীবন পাচ্ছেন।”