ডেস্ক: মুকুল রায়ের দল ছাড়ার বিষয়টা নিয়ে রাজ্য তথা দেশের দারুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এবারে দল ছাড়া প্রসঙ্গ কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়।
সোমবার বিকেলে বিধানসভা থেকে পায়ে হেঁটে রাজভবনে হাজির হন শুভেন্দু অধিকারীর সহ মোট 51 জন বিজেপি বিধায়ক রা। যদিও বিজেপিতে থাকা বাকি 23 জন বিধায়ক তাদের সাথে সামিল হল না কেন? এই নিয়ে এখন থেকেই বহু জল্পনা শুরু হয়ে গেছে।
রাজভবনে পৌঁছানোর পর শুভেন্দুর সাথে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন রাজ্যপাল। নজিরবিহীনভাবে সংবাদমাধ্যমকেও সে বৈঠকে থাকা অনুমতি দেয়া হয়। শুভেন্দু সাথে বৈঠক শেষ হলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিজের বক্তব্য পেশ করে সংবাদমাধ্যমে রাজ্যপাল। যেখানে তিনি ভোট পরবর্তী হিংসা ছাড়াও দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রসঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন “পশ্চিমবঙ্গে হিংসার তান্ডব নৃত্য চলছে। আমি রাজ্য প্রশাসনকে আবার বলছি নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন। যা এখানে হচ্ছে তা পৃথিবীর কোথাও হয় না।” মুখ্যমন্ত্রীকে করা ভাষার সমালোচনা করে তিনি বললেন “আপনি গণতন্ত্রকে শেষ নিঃশ্বাসে দিকে নিয়ে যেতে পারেন না”।
পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপালের কথায় সায় ও দেন তিনি।
মুকুল রায় এর পুরনো দলে ফিরে যাওয়াকে কটাক্ষ করে বললেন “আমি জানতে পারলাম গত 10 বছরে পশ্চিমবঙ্গের দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগই করা হয়নি। আমি আশ্বস্ত করছি পশ্চিমবঙ্গে এই আইন পুরোদমে কার্যকর করা হবে। আমি নিশ্চিত করবো যাতে কার্যকর হয়। কেউ আইনের নাগালের বাইরে নয়”।
তবে এ কথা বললেই নয় যে রাজ্যের রাজ্যপালের এরকম সুর ভোটের আগে যখন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে মন্ত্রীরা যোগ দিচ্ছিলেন তখন শোনা যায়নি। এমনকি তিনি আজ রাজ্যের যে বিজেপি বিধায়কের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন তিনিও একদা তৃণমূলের সদস্য ছিলেন।
এবং রাজ্যপালের পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত অবস্থায় তিনি ঘটা করে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন। সেই সময় এই সংবিধানের গান রাজ্যপালের মুখে শোনা যায়নি কেন? আজ বিষয়টি উল্টো হতেই তিনি মুখ খুললেন। এটি কি আদেও নিরপেক্ষতার প্রমান?