ভুয়ো টিকা কাণ্ডে যোগসূত্র মিলল রাজ্যপালের, তোলপাড় রাজ্যে রাজনৈতীক মহল
ডেস্ক: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের মামলায় আবারো সামনে এলো নতুন মুখ। গ্রেফতার করা হলো দেবাঞ্জন দেবের দেহরক্ষী তথা প্রাক্তন বিএসএফ কর্মী অরবিন্দ বৈদ্য কে। বৃহস্পতিবার রাতে এসটিএফ তাকেও গ্রেফতার করে।
কিন্তু অরবিন্দ কোনো দুর্নীতির সাথে যুক্ত নেই বলে দাবি জানান তার মা। অরবিন্দ বৈদ্যের মায়ের দাবি, দেবাঞ্জনের সংস্থায় মাত্র সাড়ে চার মাস কাজ করেছেন তার ছেলে। অরবিন্দ কে ফাঁসানো হয়েছে। এবং অরবিন্দের ভাইয়ের জানান তার দাদার সাথে চলছে নোংরা রাজনীতি।
বৃহস্পতিবার অরবিন্দ বৈদ্যকে লালবাজার থানা থেকে করা হয় তলব। তাকে নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল বেশ কিছু নথি। এবং বেশ দীর্ঘ সময় ধরে জেরা করা হয় তাকে। উত্তরে বহু অসঙ্গতি মেলায় হেফাজতে নেওয়া হয় তাকে। তদন্তকারীরা মনে করেন দেবাঞ্জনের কারবার সম্পর্কে বেশ ভালভাবেই অবগত ছিল অরবিন্দ। এবং সে জালিয়াতির কারবারের সাথে অরবিন্দ যুক্ত ছিলেন বলেই মনে করেন তারা। শুধুমাত্র টিকাকরণ না চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণায় দেবঞ্জনের সহকর্মী ছিল অরবিন্দ এটিও ধারণা করেন তদন্তকারীরা।
কিন্তু প্রথম থেকে অরবিন্দ নিজেকে নিরপরাধী বলে দাবি করে আসছেন। তার বক্তব্য অনুসারে দেবাঞ্জন এর কারবার সম্পর্কে তিনি কিছু আগে থেকে জানতেন না এমনকি তাকেও নাকি চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়া পরিচয় দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। গ্রেফতারের পর পুলিশ যখন তদন্ত করে তখন গোটা বিষয়টি তার কাছে স্পষ্ট হয়। কিন্তু অরবিন্দের বক্তব্য মানতে নারাজ ছিল তদন্তকারীরা কারণ একজনের সঙ্গে তিনি সর্বক্ষণ রয়েছেন তাও নাকি কিছু জানতেন না! সেটা কি আদৌ সম্ভব?
সন্দেহ গাঢ় হওয়ায় পুলিশ অরবিন্দের ব্যাংকের তথ্য খতিয়ে দেখেন সেখানে দেখা যায় গড় মিল। মাসিক 60000 টাকা বেতনের বিনিময় দেবাঞ্জন অরবিন্দ কে রেখেছিলেন দেহরক্ষী হিসাবে। কিন্তু বেতন ছাড়াও নানা ভাবে আর্থিক লাভ ছিল অরবিন্দের। তবে কোনো সম্পত্তি কেনা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। সেখানে তিনি এমন কিছু তথ্য সাংবাদিকদের সামনে পেশ করেন যা তোলপাড় ফেলে দেয় গোটা রাজ্যে। তিনি সম্মেলনে জানান দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী অরবিন্দ বৈদ্যের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড় এর। তিনি দুটো ছবি সংবাদমাধ্যমকে দেখায়।যেখানে প্রথম ছবিতে অরবিন্দ কে দেখা যায় দেবাঞ্জনের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে। এবং দ্বিতীয় ছবিটিতেও অরবিন্দ কে দেখা যায় দাঁড়িয়ে থাকতে তবে সেখানে ঠিক তার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ধনখড় এর পরিবার। অর্থাৎ ভুয়ো টিকা কাণ্ডে এবার ধনখড় কেও যুক্ত করার ব্যাবস্থাপনা করার কথা স্পষ্ট।