বঙ্গ বিজেপির তৈরি ফাঁদে তৃণমূল! PAC চেয়ারম্যান পদ হারাতে চলেছেন মুকুল?
ডেস্ক: রাজ্য সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপে খুবই ক্ষিপ্ত বিরোধীদল। এবং একের পর এক তার বহিঃপ্রকাশ হয়ে চলেছে। একদিকে ভবানীপুরে হওয়া উপনির্বাচনের মধ্যে গলদ খুঁজতে ব্যস্ত বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন এবং বর্তমান সভাপতি অন্যদিকে মুকুল রায়কে পিএসি’র চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করতে বারংবার বিধানসভা এবং আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তার সহচরীরা।
মঙ্গলবার মুকুল রায়ের পিএসসি’র চেয়ারম্যান থাকার বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার স্পিকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করলো হাইকোর্ট। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালত জানালো মুকুলের পিএসসির চেয়ারম্যান থাকার বিষয়টি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিতে পারেন। কারণ বিধানসভার যাবতীয় কার্যকলাপ নিয়ম অনুসারে স্পিকারে পরিচালনা করে থাকেন। এই প্রেক্ষিতে 7ই অক্টোবরের মধ্যে স্পিকার কে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিল আদালত, নতুবা আদালত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়ে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হন মুকুল রায়। আর তার মাস দুয়েকের মধ্যেই তৃণমূলের ফিরে যান তিনি। আর তার ঠিক পরেই তৃণমূল থেকে তাকে নিযুক্ত করা হয় পিএসির চেয়ারম্যান পদে। সেই নিয়েই অসন্তোষের সৃষ্টি হয় বিজেপির অন্দরমহলে। একে মুকুল রায় দল ছেড়ে পুরনো দলে ফিরে যান অন্যদিকে তাকেই নিযুক্ত করা হয় পিএসির চেয়ারম্যান পদে। এর বিরোধিতা করে শুভেন্দু অধিকারী একাধিকবার হাইকোর্ট এবং বিধানসভায় হাজির হন। নিয়ম অনুযায়ী বিরোধী দলের নেতা ছাড়া কাউকেই রাজ্যের এই পদে নিযুক্ত করা যায় না। সেখানে মুকুল রায়কে কোন অর্থে সেই পদে রাখা হয়েছে এই নিয়েই প্রশ্ন বিরোধী দলের।
সেই কারণেই আদালত জানায়, আগামী 7ই অক্টোবর পর্যন্ত সঠিক নির্ণয় নিতে হবে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুকুল রায়ের পিএসি পদ খারিজ নিয়ে কি ভাবছে তা জানাতে হবে স্পিকার কে। বিধানসভায় কোনো বিষয় সংক্রান্ত মামলায় তিন মাসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাই পিএসি মামলায় আর বেশি দেরি করা সম্ভব নয়। তাহলে কি পিএসি চেয়ারম্যানের পদ হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে মুকুল রায়ের?