জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে বোমাতঙ্ক !

ডেস্ক: কলকাতামুখী জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে বোমাতঙ্ক । দক্ষিণেশ্বরে দাঁড়িয়ে জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস। এস এইট কোচে ৬৪ নং সিটে রাখা ব্যাগ ঘিরে বোমাতঙ্ক। ঘটনাস্থলে বম্ব স্কোয়াড, স্নিফার ডগ নিয়ে ট্রেনে তল্লাশি।

বোমাতঙ্কই হোক, কিংবা আগুন আতঙ্ক, গত কয়েক মাসে একের পর এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছে ভারতীয় রেল। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের লাতেহারে রাঁচি-সাসারাম ইন্টারসিটি এক্সপ্রসে আগুন আতঙ্ক দেখা গিয়েছিল। আগুন লেগেছে শুনে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন কয়েকজন। উল্টোদিক থেকে আসা মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলা-সহ ৩ জনের। গুরুতর জখম হয়েছিল এক শিশু-সহ কয়েকজন। মৃত ও আহতদের ওই ট্রেনেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডালটনগঞ্জে।

অপরদিকে, চলতি বছরের আরও একটি মর্মান্তিক ইস্যু হল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা। এই রেল দুর্ঘটনার দায় কার? তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা এখন সপ্তমে। রেলকে অভিভাবকহীন বলেও কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তিনি বলেছিলেন, ‘রেলে একটা শ্রী ছিল। আজে তো আমি অনেকটা শুনেছি, এটা ক্রিটিসিজম নয়, এটা একান্তই প্য়াসেঞ্জার অ্য়ামেনিটিস এত কমে গেছে, যে যাত্রী নাইট জার্নি করে, এমনকী যেগুলো স্লিপার কোচ, এমন বিছানা দেওয়া হয় শুতে, তাতে নানারকম নোংরা জিনিস থাকে। বাথরুমগুলো পর্যন্ত ক্লিয়ার করা হয় না। খাবারের মানও খারাপ হয়েছে। আর এখন আর বলব কই! রেল ডিপার্টমেন্টও নেই। ওই ডিপার্টমেন্ট মানে ইহাও হয়, উহাও হয়। এখন তো আর রেলে বাজেট নেই। উঠিয়ে দিয়েছে।’

যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন,’ আমাদের বিরোধীরা পলিটিক্স ছাড়া অন্য কিছু জানে না। তারা এই দুঃখের সময়ে, বলতে খারাপ লাগছে, যেরকম শকুনের নজর সবসময় ভাগাড়ের দিকে থাকে, সেরকম আমাদের বিরোধীদের নজরও সবসময় পলিটিক্সের দিকে আছে।’