কে ছিলেন ভগবান মহাবীর?

ডেস্ক: চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে মহাবীর জয়ন্তী পালিত হয় প্রতি বছর। এই দিনে জৈন ধর্মের লোকেরা ২৪তম তীর্থঙ্কর ভগবান মহাবীরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেন। কথিত আছে যে, ভগবান মহাবীর বিহারের কুন্দলপুরের রাজ ঘরানায় ৫৯৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শৈশবের নাম ছিল বর্ধমান। ৩০ বছর বয়সে তিনি সিংহাসন ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন এবং আধ্যাত্মিকতার পথে হাঁটেন।

জৈন ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে, ১২ বছরের কঠোর নীরব তপস্যার পর, ভগবান মহাবীর তাঁর ইন্দ্রিয়কে জয় করেছিলেন। নির্ভীক, সহনশীল এবং অহিংস হওয়ার কারণে তাঁকে মহাবীর নাম দেওয়া হয়েছিল। ৭২ বছর বয়সে তিনি পাওয়াপুরী থেকে মোক্ষ লাভ করেন। মহাবীর জয়ন্তীর দিন, জৈন ধর্মের লোকেরা প্রভাতফেরি, শোভাযাত্রা বের করেন। তার পরে মহাবীরের মূর্তি সোনা ও রুপোর কলস অভিষেক করা হয়। এই সময়, জৈন সম্প্রদায়ের গুরু ভগবান মহাবীরের শিক্ষার কথা বলা হয় এবং সেগুলিকে অনুসরণ করতে শেখানো হয়।

ভগবান মহাবীর স্বামী রাজকীয়তা ত্যাগ করে আধ্যাত্মিকতার পথ অবলম্বন করে সমগ্র মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেছিলেন সারা জীবন। মহাবীর স্বামী ৫টি প্রধান নীতি বলেছিলেন, যেগুলিকে পঞ্চশীল সিদ্ধান্ত বলা হয়। সত্য, অহিংসা, চুরি না করা, যাঁরা আস্তেয় অনুসরণ করেন তাঁরা জীবনে সর্বদা সংযম বজায় রাখেন। শুধুমাত্র তাঁদের যা দেওয়া হয় তা-ই গ্রহণ করেন। আস্তেয় মানে চুরি না করা। চুরির অর্থ কেবল বস্তুগত জিনিস চুরি করাই নয়, উদ্দেশ্ও নষ্ট না করা। আপনি যদি অন্যের সাফল্যে বিভ্রান্ত হয়ে ভুল পথ অবলম্বন করতে শুরু করেন, তবে একে এক প্রকার চুরিও বলা হয় , বিষয় ও বস্তুর প্রতি অনুরক্ত না হওয়া, ব্রহ্মচর্য পালন করা।