ডেস্ক: কন্যা সন্তানদের বিকাশের জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মাঝেমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। নানান সময়ে চালু করা হয় নানান স্কিম। এর মধ্যে বহু প্রকল্পের লক্ষ্যই হল মেয়েদের অর্থনৈতিক সাহায্য প্রদান করা। মেয়েরা যাতে ভালো করে পড়াশোনা করতে পারে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে এই জন্য প্রায়ই নানান উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। এমনই একটি প্রকল্পে কন্যা সন্তান হলে ২ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।
এখনও এদেশে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কন্যা সন্তানদের বোঝার চোখে দেখে। সেই কারণে অনেক ক্ষেত্রে অল্প বয়সেই তাঁদের বিয়ে দিয়ে দিতে দেখা যায়। এই ধারণা সরিয়ে মেয়েরা যাতে স্বাবলম্বী হতে পারে সেই জন্য সরকারের তরফ থেকে বহু জনদরদী প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এমনই একটি স্কিম হল ‘ভাগ্য লক্ষ্মী যোজনা’। সরকারের এই প্রকল্পে অ্যাপ্লাই করলে আপনার কন্যা ২ লাখ টাকা পেতে পারে।
ভাগ্য লক্ষ্মী যোজনায় কন্যা সন্তান জন্মানোর সময় ৫০,০০০ টাকার বন্ড দেওয়া হয়। সেই কন্যা সন্তানের ২১ বছর বয়স হলেই সরকারের তরফ থেকে দেওয়া ৫০,০০০ টাকার এই বন্ড ২ লক্ষ টাকার বন্ডে পরিণত হয়। সেই সঙ্গেই কন্যা সন্তানের মায়ের হাতে ৫,১০০ টাকা তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি লেখাপড়ার জন্য সরকারের তরফ থেকে মেয়েদের ২৩,০০০ টাকা অবধি দেওয়া হয়। কিস্তির মাধ্যমে ওই টাকা দেয় সরকার।
কন্যা সন্তান ষষ্ট শ্রেণিতে উঠলে ৩,০০০ টাকা, অষ্টম শ্রেণিতে উঠলে ৫,০০০ টাকা, দশম শ্রেণিতে ৭,০০০ টাকা এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠলে সরকারের তরফ থেকে ৮,০০০ টাকা দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে আবেদন করতে হলে https://mahilakalyan.up.nic.in/ সাইটে যেতে হবে। এরপর ভাগ্য লক্ষ্মী যোজনার আবেদনপত্র ডাউনলোড করে তা পূরণ করতে হবে। এরপর সেটি মহিলা ও শিশু কল্যাণ অফিস বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে জমা করতে হবে। ভেরিফিকেশন হয়ে গেলেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে।
কন্যা সন্তানদের জন্য চালু করা এই প্রকল্প চালাচ্ছে উত্তর প্রদেশ সরকার। তাই আবেদনকারীকে অবশ্যই ওই রাজ্যের নিবাসী হতে হবে। সেই সঙ্গেই ২০০৬ সালের ৩১ মারচের পর দারিদ্রসীমার নীচে জন্মগ্রহণ করা কন্যা সন্তানরা এই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। একইসঙ্গে আবেদনকারীর পরিবারের বাৎসরিক আয় ২ লক্ষের বেশি হলে হবে না এবং কন্যা সন্তান জন্মের ১ বছরের মধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিতে হবে। এছাড়া একটি পরিবার থেকে দু’জন মেয়ে ভাগ্য লক্ষ্মী যোজনার জন্য আবেদন করতে পারবে।