ডেস্ক: রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রয়েছে সবুজ সাথী প্রকল্প, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, রূপশ্রী আরও কত কি। তবে তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্যোগে চালু হওয়া সব থেকে জনপ্রিয় প্রকল্পটি হল লক্ষীর ভাণ্ডার । আর এবার এই লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়েই বিরাট ঘোষণা।
লোকসভা ভোটের পর গত রবিবার ছিল তৃণমূলের প্রথম ২১ জুলাই। শহিদ দিবসের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিক ইস্যুর পাশাপাশি মমতার মুখে উঠে আসে লক্ষীর ভাণ্ডারের কথা। ভরা সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনা, ” লক্ষীর ভাণ্ডার যেমন চলছে, তেমনই চলবে। যারা যারা লক্ষীর ভাণ্ডারের আবেদন করেছেন, কিন্তু টাকা পাননি, তাদের চিন্তার কিছু নেই। কয়েকটা দিন যাক। পুজোর পরেই সবাই ভাতার টাকা পেয়ে যাবেন।”
মমতার কথায়, ‘ডিসেম্বর থেকেই সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন নিয়ে কাজ শুরু করবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী ও রুপশ্রী প্রকল্পের জন্য আমরা ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বাংলার বাড়ি, বিধবা ভাতা আরও অনেক কিছু দেওয়া হবে ডিসেম্বর থেকে। ইতিমধ্যেই ২ কোটি ১৫ লক্ষ মহিলাকে ৪০ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের দেওয়া হয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ‘কিছু লক্ষীর ভান্ডার পড়ে রয়েছে। তারা সকলে পুজোর পরে পেয়ে যাবেন। পুজোটা হয়ে যাক আমরা ততদিন এগুলো রিভিউ করে নেব।’ এদিন মমতার মুখের কথায় অনেকেরই চিন্তা দূর হয়েছে। আবার লোকসভা ভোটে বিপুল সাফল্যের পর মনে করা হচ্ছে ফের একবার লক্ষীর ভাণ্ডারের ভাতা বাড়ানো হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প শুরুর সময় থেকে জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদের মাসিক ৫০০ টাকা অর্থসাহায্য দেওয়া হত। তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলাদের দেওয়া হত ১০০০ টাকা। তবে কিছুদিন আগেই সেই ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা মাসিক ১০০০ ও তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা মাসিক ১২০০ টাকা পেয়ে থাকেন।