শুভেন্দুর উপস্থিতিতে মোদীর সাথে বৈঠকে বসতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ডেস্ক: গত দুইদিনের ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বিধ্বস্ত এলাকায় পরিদর্শনের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খড়্গপুরের কলাইকুন্ডা এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠকে বসবেন তিনি। গতকাল নবান্নের একটি প্রেস কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আজকের বৈঠকে এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু সমস্যা হলো অন্যদিকে আজ সকালে জানা গেল কলাইকুন্ডা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী ও। সেই নিয়ে বিক্ষোভ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রে জানা যায়, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান কলাইকুন্ডায়ের বৈঠকে বিরোধীদলের নেতা থাকলে তিনি বৈঠকে বসবেন না।

শুক্রবার সকালে দক্ষিণ দক্ষিণ 24 পরগনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছান। সেখানে অবস্থার পরিদর্শন করার পর সেখান থেকে কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের যাওয়ার কথা ছিল মমতার।

বৈঠকে আরও একজন সদস্যের নাম উল্লেখ থাকায় সেখানে পৌঁছতে নারাজ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূলের প্রাক্তন এবং বর্তমান বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা জানা যায়। কথাটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানার পর তিনি সাফ জানিয়ে, দেন তালিকা থেকে শুভেন্দুর নাম না বাদ গেলে কলাইকুণ্ডায় যাবেন না তিনি। হেলিকপ্টার ঘুড়িয়ে সোজা চলে যাবেন দিঘায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তের সমর্থন করে সঠিক বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা তাপস রায়। তিনি জানান,” মমতা সঠিকভাবে প্রতিবাদ করেছেন। সাধারণভাবে এই ধরনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর থাকে।

কেউ যদি অতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে হাজির হন তা মেনে নেওয়া যায় না। কোনও বিধায়ক কে কেন ডাকা হবে? এর কোনও প্রয়োজন নেই।”

অপরদিকে এই সিদ্ধান্তকে গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বলেই জানান বিজেপির নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি জানান, ‘বিরোধী দলনেতা থাকবেন এটা স্বাভাবিক। ভারতীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্ব আছে। এটাই সুস্থ গণতন্ত্রের নিদর্শন হওয়া উচিত।”

এছাড়া নরেন্দ্র মোদীর এই বৈঠককে প্রশাসনিক স্তরে বলে জানা গিয়েছে। সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানেরও থাকার কথা এই বৈঠকে।

পরবর্তীকালে জানা যায় প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে উপস্থিত মন্ত্রীদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নথিভুক্ত আছে। গতবছর আমফানের সময় নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা করতে গিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি অন্যান্য নেতারা। কিন্তু এবারে তারা থাকছেন না। তাই বৈঠকের বিরোধী দলের দলনেতা কে ডাকা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।