ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে দিল্লিতে স্থানান্তর করার পর থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন বিক্ষোভ।
গত শুক্রবার 28 শে মে কলাইকুন্ডায় আয়োজিত হয়েছিল এক বৈঠক যা রাজ্যে হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষয়ক্ষতির বিষয় বিশ্লেষণ করার উদ্দেশ্যে গঠন হয়েছিল। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রী মধ্যে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
ঐদিন হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে পারেন বৈঠকে বেশকিছু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছাড়া উপস্থিত থাকতে চলেছে তৃণমূল প্রাক্তন নেতা ও বিজেপির বর্তমান বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
যার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বসতে নারাজ হন। পরে খবরে জানা যায় মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আধঘন্টার উপর অপেক্ষা করানোর পর বৈঠকে উপস্থিত হয়ে ক্ষয়ক্ষতির ফাইল ধরিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন যা অপমানজনক বলে গণ্য করা হয়।
এরই সাপেক্ষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ঐদিন প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে সাথে করে তিনি দীঘা ও তার সংলগ্ন অঞ্চলগুলি যান পর্যবেক্ষণ করতে।
এর পরেই মমতা বন্দোপাধ্যায় কে কটাক্ষ করে বহু খবর প্রকাশিত হয় যেখানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় তার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অপমানজনক ব্যবহারের জন্য।
এই বিষয়টার প্রতিবাদ করে তার পরের দিনই অর্থাৎ শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর নবান্নের একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। যেখানে তিনি শুক্রবার হওয়া ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেয় এবং বিজেপির আইটি সেল গুলির উপর ভিত্তি করে একতরফা বিচার না করার অনুরোধ জানান। সাথে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে হাতজোড় করে এরকম ষড়যন্ত্র বন্ধ করার আর্জি জানান।
এর পরে খবর আসে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে ডাকা হয় দিল্লিতে তাকে নোটিশ ধরানো হয় স্থানান্তর করার। ইয়াসের বিপর্যয় রিভিউ মিটিং মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিত না থাকলেও চীফ সেক্রেটারির উপস্থিত থাকা আবশ্যক ছিল। কিন্তু নিজের দায়িত্বে কে মুখ ফিরিয়েছেন।
সেই জেরেই তাকে তলব করা হয় দিল্লিতে। সে রাতেই প্রধানমন্ত্রী তরফ থেকে চিঠি আসে, এবং তাতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে সোমবার সকাল দশটার মধ্যে দিল্লীর নর্থ ব্লকে রিপোর্ট করতে বলা হয়।
কিন্তু দিল্লিতে যায়নি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় তার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “রাজ্যের কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এই সময় কোন মতে মুখ্য সচিবকে ছাড়া সম্ভব নয়। বিশ্লেষক তথা প্রাক্তন শীর্ষ আমলারা বলেছেন এতে তুঙ্গে উঠলো কেন্দ্র সরকার রাজ্য সংঘাত।”