‘মানুষের মাংস রেঁধে খেতে বাধ্য করে জঙ্গিরা’, কঙ্গোর এক ধর্ষিতা তরুণীর সাথে কি ঘটেছিল আসলে?

ডেস্ক: বুধবার কঙ্গোয় নারীদের পরিস্থিতি নিয়ে এবং তাদের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা চলছিল। সেই সময় কঙ্গোস্থিত একটি নারী অধিকার রক্ষা সংগঠনের প্রেসিডেন্ট জুলিয়েন লুসেঞ্জ এমন একটি পিশাচিয় ঘটনা তুলে ধরেন হাড় হিম করে দিতে বাধ্য।

তিনি জানান, কঙ্গোর এক মহিলা কোডেকো জঙ্গিদের কাছে অন্য এক অপহৃত মহিলাকে ছাড়াতে গিয়ে নিজেও অপহৃত হয়ে যান। জঙ্গিরা তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। চালায় অকথ্য অত্যাচার। তারপর তার সামনেই একজনের গলা কেটে ফেলে জঙ্গিরা।

এরপর গলা কাটা দেহ থেকে অন্ত্রটি খুবলে বের করে মহিলার দিকে এগিয়ে দেয়। আর সেই রান্না করা অন্ত্রটি খেতে হয় মহিলাকে। তবে এখানেই শেষ নয় কয়েকদিন বাদে মহিলাকে কোডেকো জঙ্গিরা ছেড়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে আবার তাকে অপহরণ করে অন্য এক জঙ্গিগোষ্ঠী। সেখানেও পুনরাবৃত্তি হয় সেই ঘটনার। বারবার গণধর্ষণ এবং মানুষের মাংস রেঁধে খাওয়া। কোন রকমে সেখান থেকে পালন মহিলা।

জুলিয়েনের মুখে মহিলার কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে যায় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলি। প্রসঙ্গত কঙ্গোই গৃহযুদ্ধ সামাল দিতে দু দশক ধরে সেখানে রাষ্ট্রপুঞ্জে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন আছে। কিন্তু অশান্তি থামার নাম নেই।