ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ শে মে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং জেলা আধিকারিকরা। এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের বেশ কিছু মন্ত্রীও ছিলেন।
এই ভার্চুয়াল মিটিংয়ের সমাপ্ত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেন। এবং তিনি তার ভার্চুয়াল মিটিংয়ে হওয়া অভিজ্ঞতা জানায়। যেখানে মমতা ব্যানার্জী নরেন্দ্র মোদির ওপর আরোপ লাগায় যে তিনি গোটা বৈঠকে নিজের বক্তব্য শেষ করার পর বৈঠকটি সমাপ্ত করে দেন। কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একটিও নিজের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পাননি।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, এই ভার্চুয়াল মিটিং টি দশে বেড়ে চলা মহামারীর উদ্দেশ্যে হয়েছিল। যেখানে প্রতিনিয়ত খবর আসছে আক্রান্তের ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে এবং বেড ও অক্সিজেনের সংখ্যা কমছে।
সেখানে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোনও কথা বলার সুযোগ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেবল প্রধানমন্ত্রীই কথা বলতে থাকেন এবং সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী পুতুলের মতো বসে তাঁর কথা শোনেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকে কাউকে এখানে কোভিড এর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সুযোগ দেননি। এমনকি তিনি ও বলেন কোভিড বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। ” প্রধানমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী কেন এত ভয় পান? তারা কেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে ভয় পাচ্ছে?
এর সাথে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ‘নামামি গঙ্গা প্রকল্প’ র উপর জোর দিয়ে বলেন যে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানের গঙ্গা নদীতে শো’য়ের ওপর লাশ ভাসতে হতে দেখা গেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো প্রকার আলোচনা করেননি।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সভায় বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।