‘মোদীর সবচেয়ে বড় দালাল মমতাই’, কী কারণে এমন মন্তব্য অধীর রঞ্জন চৌধুরীর?
ডেস্ক: একুশের নির্বাচনে ভয়ঙ্কর হার কংগ্রেস ও সিপিআইএমের। বাংলার বুক থেকে প্রায় লুপ্ত হতে চলেছে এই দুটো দল। দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ট ভোট পেয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তবে বিজেপিকে প্রতিহত করতে কেনো বারবার কংগ্রেস কে আক্রমণ? এমনটাই প্রশ্ন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর।
যেখানে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জোট বাঁধার চেষ্টায় অ-বিজেপি রাজনৈতিক দলগুলি, তখনই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোদীর দালাল বলে কটাক্ষ অধীর বাবুর। তার বক্তব্য, “মোদী আর মমতার মধ্যে আগেই চুক্তি হয়ে গিয়েছে। সেই চু্ক্তিতে বলা হয়েছে বাংলাটা মমতার আর দিল্লিটা নরেন্দ্র মোদীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ম্যাডাম সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করলেন। কিন্তু, গত 6 সেপ্টেম্বর ইডির সমন পাঠানোর পরেই সুর বদলে গেল। অভিষেক কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বলতে শুরু করলেন। কারণ, বিজেপির হুমকি। আর মোদী জানেন বিরোধীরা একজোট হলে বিজেপির ক্ষমতায় থাকা মুশকিল। নিজের দলের চোর-ডাকাতকে বাঁচাতে মমতাও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বলছেন। বিজেপি সেটাই চায়। সেইজন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সবচেয়ে বড় দালাল।”
তিনি আরো বলেন, “নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সরকারকে প্রতিহত করতে প্রয়োজন বিরোধী জোট। সারা দেশে ৬৩ শতাংশ ভোট বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ৬৩ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশ ভোটই কংগ্রেসের। ৪ শতাংশ বাংলার। সেই ৪ শতাংশের পুরোটাই তৃণমূলের। এখন কংগ্রেসকে প্রচার করতে না দিয়ে আটকে রেখে বিজেপিকে তো ঠেকানো যাবে না। মমতা একদিকে বিজেপি বিরোধী জোটের কথা বলছেন অন্যদিকে কংগ্রেসকে আক্রমণ করা হলে তা নিয়ে কিছু বলছেন না। এতে লাভ হচ্ছে বিজেপির”।
গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো তৃণমূলে যোগদান করার পর বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, শরদ পাওয়ার কংগ্রেস, আমি চাই কংগ্রেস পরিবার একত্রিত হোক। আমার লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। কংগ্রেস হাত গুটিয়ে বসে থাকলে আমরা চুপ করে থাকতে পারি না। তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির সামনে মাথানত করবে না।”
এরপরেই, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের প্রতি কটাক্ষ হেনে বলেন, “শুধু বসে বসে টুইট করলেই হয় না। রাস্তায় নামতে হয়। কংগ্রেস-সিপিএম এখন শূন্য, আপনি কাদের ভোট দিচ্ছেন? সিপিএম-কংগ্রেসের চেয়ে নোটা অনেক ভাল!”
বঙ্গে কংগ্রেস এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-বাম-এইএসএফ এর ওপর ভরসা রাখতে পারেনি বঙ্গবাসীরা। তাই শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে এই ব্যর্থ যৌথ শক্তিকে। অধীর বাবুর নিজের গড় মুর্শিদাবাদেও ধীরে ধীরে ছেয়ে পড়ছে সবুজের আভা। তাই এই পরিস্থিতিতে দলকে টিকিয়ে রাখতে দলের ভবিষৎ নিয়ে চিন্তিত খোদ দলের নেতারা।