ডেস্ক: তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন মুকুল রায়ের। বাংলার রাজনীতিতে ঘটতে চলেছে ইতিহাস। মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুকুল রায়। সাথে তার ছেলে শুভ্রাংশু।
বেশ কিছুদিন যাবৎ মুকুলের দল বদলি পুরনো দলে ফিরে যাওয়ার জল্পনা-কল্পনা চলছে রাজনীতি মহলে। যেখানে গেরুয়া শিবিরে বিধানসভা নির্বাচন জিতে বিধায়ক হওয়ার পরেও তেমন উদ্যোগ দেখা যায়নি মুকুল রায়ের মধ্যে। আবার অন্যদিকে দলের কোনো রিভিউ বৈঠকে সে ভাবে দেখা যায়নি তাকে। দুর্ভাগ্যবশত ছেলে শুভ্রাংশু এবারের নির্বাচনে বীজপুর বিধানসভায় পরাজিত হয়। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই পিতা-পুত্রের বিজেপির সঙ্গে বাড়তে থাকে দূরত্ব।
অনেকেই ধারণা করেন আজই মুকুল ও শুভ্রাংশু ফিরতে পারেন পুরনো দলে।
এরই মধ্যে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনের আগে সভামঞ্চে সকলের সামনে বলেন, “মুকুল কিন্তু শুভেন্দুর মত অতটা খারাপ নয়।” এই কথাটি ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত গতিতে। এবং এই বক্তব্যের পর এই তৃণমূলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সৌগত রায় বলেন, “মুকুল তো কখনই দলনেত্রী সেইভাবে অপমান করেন নি।”
এরইমধ্যে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুকুল পত্নী। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি থাকার খবরটা পেয়েও দিন 15 তার সাথে দেখা করতে আসেননি কোন বিজেপি নেতা। এই বিষয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ জাহির করে শুভ্রাংশু।
কিন্তু তৃণমূল থেকে বেরিয়ে আসার পরও সম্পর্কের খাতিরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম যান হাসপাতালে। তিনি বেরিয়ে আসতেই সেখানে গিয়ে পৌঁছান রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর এই সবের ঘোর কাটতে না কাটতেই 24 ঘন্টার মধ্যেই মুকুল রায় কে ফোন করেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। ফলে প্রশ্ন উঠে আসে মুকুল রায় কে দলে ধরে রাখতেই কি এই ফোন করেন মোদী জী?
সে যাই হোক ঘরের ছেলে ফিরেছে ঘরে। দীর্ঘ চার বছর তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়ে বর্তমানে বিধায়ক হয়েছেন তিনি। কিন্তু ফল প্রকাশের পর থেকেই সম্পূর্ণ বদলে গেছে ছবিটা। এবং আজ সমস্ত জল্পনা কল্পনা র সমাপ্তি ঘটিয়ে পুরনো দলে যোগ দিলেন মুকুল রায়।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ভবনে পৌঁছানোর ঠিক পরেই শুভ্রাংশু কে নিয়ে ভবনে প্রবেশ করলেন মুকুল রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক হবে তার।