অফিসে 100% হাজিরা থেকে পার্ক ও মিউজিয়াম খুলে রাখার ছাড়পত্র ঘোষণা করল নবান্ন
ডেস্ক: ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে রাজ্যে জারি থাকা বিধিনিষেধ। সোমবার নবান্ন থেকে একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় যেখানে রাজ্য একাধিক ছাড়ের ঘোষণা করেন। যেই ঘোষণাপত্রের নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, 50% দর্শক নিয়ে এবার থেকে বিনোদনমূলক পার্ক এবং মিউজিয়াম খোলা যাবে। একই সাথে কোরোনা বিধি মেনে তথ্য এবং তথ্য প্রযুক্তির দফতরে 100% হাজিরা নিয়ে কাজ করার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি অফিসে এখন স্বাভাবিকভাবে কর্মীরা কাজ করতে পারবেন।
শিল্পক্ষেত্রেও 100% শ্রমিকদের হাজিরা মঞ্জুর করা হয়েছে করা হয়েছে। এর আগে নাইট কার্ফুর সময়সীমা কমিয়ে রাত 11 টা থেকে ভোর 5টা অবধি করা হয়েছিল। এবারে দোকানপাট, বার-রেস্তোরাঁ ইত্যাদি খুলে রাখার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হল। এবারে রাত আটটার পরিবর্তে রাত 10টা পর্যন্ত খুলে রাখা যাবে সমস্ত দোকান হার্ট এবং বার ও রেস্টুরেন্টগুলি। কিন্তু করা নির্দেশিকা জারি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাত দশটার পর কোনভাবেই দোকান খোলা রাখা যাবে না। কারণ 11 টা থেকে, নাইট কার্ফু লাগু থাকবে। একই সঙ্গে সিনেমাহল, থিয়েটার সহ সুইমিং পুল, খেলার স্টেডিয়াম 50% দর্শকদের উপস্থিতি নিয়ে খোলা রাখা যাবে এটিও জানানো হয়।
বাড়ানো হয়েছে মেট্রোর সংখ্যা। মানুষের ভিড় কমাতেই প্রত্যেক 5 মিনিট অন্তর মেট্রোরেল প্লাটফর্মে উপস্থিত থাকবে। তবে লোকাল ট্রেন চালাতে অনীহা দেখা রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “অনেকে আমায় প্রশ্ন করছেন, লোকাল ট্রেনটা কেন চলছে না? এর কারণ হচ্ছে, ভ্যাকসিনটা আমি যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রামে-গঞ্জে পুরো না দিতে পারব, তাহলে এর (করোনার) প্রকোপ তো বাড়বে। এখন থেকেই তো (তৃতীয় ঢেউ) কন্ট্রোল করতে হবে। আমি জানি সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে যারা কলকাতায় আসতে চায়। সেই জন্য বাস-অটো সব চালু করে দেওয়া হয়েছে”।
সাথে বললেন, “সমস্যা একটাই। সেপ্টেম্বরে যেহেতু থার্ড ওয়েভ আসার কথা রয়েছে, তাই আমাদের এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হচ্ছে। যারা লোকাল ট্রেনে আসতে পারছেন না জানি তাঁদের অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু আপনার জীবনের থেকে তো বেশি দামি কিছু নয়। তাই আরও কয়েকটা দিন আমাদের কষ্ট করতে হবে বন্ধু। আমরা চেষ্টা করছি টিকাকরণ যাতে বাড়ানো যায়। কলকাতার কাছাকাছি জেলাগুলোতে যদি ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিনও দিয়ে দিতে পারি, তাহলে লোকাল ট্রেন চালু করে দেব আমার কোনও সমস্যা নেই।”
মূলত তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার কারণেই যে লোকাল ট্রেন এখনও জনসাধারণের জন্য চালু হচ্ছে না সেটাই তিনি স্পষ্ট করে জানান। তিনি বললেন, “সবই তো চলছে। কিন্তু লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে আমরা আরও কিছুদিন সময় নিচ্ছি কারণ আমাকে তৃতীয় ঢেউটা আটকাতে হবে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বাচ্চারা তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হতে পারে। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। আমরা হয়তো বললাম নিয়ম মেনে যান। কিন্তু দেখা যাবে আরও গাদাগাদি করে সবাই চলে গেল। সুতরাং আরও ১৫ দিন, অর্থাৎ অগস্টের ৩০ তারিখ পর্যন্ত লোকাল ট্রেনের বিধিনিষেধ চালু থাকবে।”