খেলরত্ন পুরষ্কার থেকে রাজীব গান্ধীর নাম সরিয়ে মেজর ধ্যানচাঁদ এর নাম ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদী

ডেস্ক: খেল রত্ন থেকে নাম সরলো রাজীব গান্ধীর। পরিবর্তে নামকরণ হলো “মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার”। শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা স্বয়ং জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

কি এই খেলরত্ন পুরস্কার?

ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের একবছরের পারফরম্যান্স বিচার করে দেয়া হতো খেলরত্ন পুরস্কার। 1991-92 সাল থেকে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নামে খেলরত্ন পুরস্কার দেওয়া হতো। দেশের প্রথম খেলরত্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন বিশ্বনাথ আনন্দ। তবে 2015 সালে এক বছরের বদলে চার বছরের পারফরম্যান্স দেখে দেওয়া হত এই পুরস্কার। 12 সদস্যের কমিটি বিচার করতো খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স। যোগ্যতার মাপকাঠি বিচারে দেওয়া হতো পুরস্কার।

আর এই রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কারের নাম পাল্টে নরেন্দ্র মোদী রাখলেন হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদের নামে। আর সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ হিসেবে তিনি টুইটারে জানিয়েছেন, “খেলরত্ন পুরস্কার এর নাম মেজর ধ্যানচাঁদ এর নামে করার জন্য দেশের প্রচুর নাগরিকের থেকে অনুরোধ পেয়েছিলাম। মতামত জানানোর জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের ভাবাবেগকে সম্মান দিয়ে, খেলরত্ন পুরস্কারকে মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার হিসেবে রাখা হবে।”

পাশাপাশি অন্য আরেকটি টুইটে তিনি খেলার জগতে মেজর ধ্যানচাঁদের কৃতিত্বের কথা উল্লেখ করেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর খেলরত্ন এর নাম পরিবর্তনের পিছনে জনগণের অনুরোধের বলে যুক্তি দিন না কেন, ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে তার এই পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা উঠেছে তুঙ্গে।

কংগ্রেসের বর্ষিয়ান নেতা সঞ্জয় নিরুপম টুইট করে লেখেন, প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, আমেদাবাদের যে নতুন স্টেডিয়ামটি আপনার নামে তৈরি হয়েছে সেটা পরিবর্তন করে যেকোনো খেলোয়াড়ের নামে করে দেওয়ার জন্য ব্যাপক চাহিদা জানাচ্ছেন জনগণ। খেলোয়াড়ের সম্মানে এমন রাজনৈতিক গিমিক্স কেন?

সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে খেলরত্ন পুরস্কারের থেকে রাজীব গান্ধীর নাম বাদ যাওয়ায় চটে আছে কংগ্রেসিরা। একেই বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই রাহুলের নেতৃত্বে বিরোধী ঐক্য দিনে দিনে স্পষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে এরূপ সিদ্ধান্ত সমস্যা বাড়াবে বৈ কমাবে না।