ডেস্ক: একাধিকবার বেল এর আবেদন জমা দিলেও বারবার নকোজ হয়েছে সেই আবেদন। এখন মাদক মামলায় জামিন পায়নি আরিয়ান। তবে চেষ্টা চলছে সব ভাবেই। বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করতে গিয়ে নারকোটিক্স ব্যুরো’র ওপরই অভিযোগ তুললেন আরিয়ান। তিনি আদালতকে সাফ জানান, যে তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভুল ব্যাখ্যা করছে NCB। তাকে অকারণে মামলায় জড়ানোর চেষ্টা চলছে।
চলতি মাসের 3 তারিখ প্রমোদতরীতে হানা দিয়েছিল NCB এবং সেখান থেকেই আরিয়ান সহ 20 জনকে আটক করে তারা। মাদক মামলার অভিযোগে তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়। বিশেষ আদালতে তার জামিনের মামলা মকুবের পর হাইকোর্টে যায় এই মামলা। এবং সেখানেই এই মামলার পরবর্তী শুনানি তারিখ ধার্য করা হয় 26 শে অক্টোবর।
বিশেষ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মামলা স্থানান্তরের আবেদনে আরিয়ান খান জানিয়েছেন যে তার মোবাইল ফোন থেকে যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখা হয়েছে তা অসঙ্গত এবং ভুল। সেই মিথ্যা চ্যাটের ভুল ব্যাখ্যা করে তাকে এই মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করছে NCB।
পাশাপাশি আরিয়ান এও জানায়, ওই প্রমোদতরীতে NCB অফিসাররা তার ওপর তল্লাশি চালিয়েও কোনো মাদক পাননি। আরবাজ মার্চেন্ট এবং আর্চিত কুমার ছাড়া আর কারোর সাথে কোনো যোগ সূত্র পাননি অফিসাররা। আরিয়ানের কথায়, জোর করে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজকে লিঙ্ক করানোর চেষ্টা করছেন এনসিবি কর্তারা।
দেখা যাচ্ছে আইনি জটের থেকেও জামিন জটে ফেঁসেছেন আরিয়ান। তাকে জামিন পেতে গেলে এখন আদালতের কাছে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি ‘অপরাধপ্রবণ মানসিকতার’ ব্যক্তি নন এবং এই ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই জড়িত নন। ওয়াকিবহাল মহলের মত প্রাথমিক শর্ত পূরণ করতে পারলেও NCB অফিসাররা যেভাবে তাকে আটক করেছে সেখানে দ্বিতীয় শর্ত পূরণ করে জামিন পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে আরিয়ান খানের জন্য।