নারদা মামলায় নতুন টুইস্ট, তদন্তে নাম জুড়লো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও

ডেস্ক: গত সোমবার সকালে নারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চ্যাটার্জি কে নাটকীয় ভাবে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
এই ঘটনার পরে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজাম প্যালেসে গিয়ে হাজির হয় নিজের গ্রেফতারের দাবিতে। প্যালাসের বাইরে চলতে থাকে বিক্ষোভ।

তৃণমূলকর্মী সমর্থকরা ইট পাথর দিয়ে হামলা চালায় নিজাম প্যালেস। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টানা ৬ ঘন্টা ধর্নায় বসে থাকে সিবিআই হেডকোয়ার্টারে।
অভিযুক্ত নেতারা জামিন পেয়েও, সে জামিন খারিজ করেছে হাইকোর্ট। গত দু’দিন ধরে জেল হেফাজতে রয়েছেন তারা। বুধবার দুপুর ২ টোয় হাইকোর্টে শুনানিতে সিবিআই আদালতের হাতে পেশ করে ৫৩ পাতার চার্জশিট। কিন্তু এক নতুন মোড় নিয়েছে এই নারদা’র পুনরুত্থান। এবারে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সঙ্গে জুড়েছে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও নাম।

সিবিআই আধিকারিকরা অভিযোগ করেন গত সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ বাকি দুজন এই মামলায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছেন। গ্রেপ্তারি খবর পেয়েই সিবিআই অফিসে তড়িঘড়ি করে পৌঁছে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সাথেই উপস্থিত থাকেন আইন মন্ত্রি মলয় ঘটক ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের ঢুকে রীতিমতো আধিকারিকদের ওপর চিৎকার করেন। এমনকি অতিমারি আইনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দেবেন বলে হুমকি দেন।

তাদের মতে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে সিবিআই অফিস ঘেরাও করে তৃণমূল কর্মীরা। তাই আদালতের কাছে এই মামলা তাড়াতাড়ি অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেছে সিবিআই।