মহিষদায় একাধিক মানুষকে করা হয় সামাজিক বয়কট, ঘটনাটির নিন্দা করেন নির্মলা সীতারামন
ডেস্ক: আলাপন, কেন্দ্র, রাজ্য এখন অতীত এবারের নতুন ঘটনা হলো মহিষদার লিফলেট বিতর্ক। যা এখন পৌঁছে যায় দিল্লিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এর হতে।
ঘটনাটা শুরু থেকে শুরু করা যাক, পশ্চিম মেদিনীপুরের মহিষদা অঞ্চলে একটি নোটিশ বিতর্ক তৈরি করে। যেখানে নোটিস এর মাথায় লেখা ছিল ‘মহিষদা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস’। এবং সেখানে মেইন বিষয়বস্তুটি কিছুটা এমন লেখা ছিল, “বি:দ্র: – পার্টির অনুমতি ছাড়া এই সমস্ত ব্যক্তিদের কোন জিনিস পত্র বিক্রয় করা যাবেনা। চা দোকানদার দের উদ্দেশ্যে জানানো যায় এই ব্যক্তিদের চা দেওয়া যাবে না।” এবং তার নিচে প্রায় 18 জন ব্যক্তিদের নাম সেখানে লেখা ছিল। যার ঠিক নিচেই লেখা ছিল এই সমস্ত ব্যক্তিদের অনুমতি ছাড়া মাল বিক্রয় করলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে।
সূত্রে জানা যায় যে ব্যক্তি গুলির নাম নোটিসে লেখা ছিল তারা প্রত্যেকেই বিজেপি সাপোর্টার।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি এই অঞ্চলের সাংসদ দীপক অধিকারী অর্থাৎ টলি তারকা দেব।
এই নোটিশটি টুইটারে ভাইরাল হতেই পৌঁছে যায় দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এর কাছে যেখানে তিনি নোটিশের পোস্টটি রি-টুইট করে লেখেন, “এই বিষয়টি হতাশাজনক, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে এই সমস্ত বিষয় গুলির উপর নজর দিতে আর্জি জানাচ্ছি এরাম ঘটনা দ্বিতীয়বার না হয় এবং এসব মানুষদের এক ঘরে যাতে করে দেওয়া না হয়। এটি বড়ই লজ্জার বিষয়।”
This is shocking. Would urge CM @MamataOfficial to see that ALL citizens in West Bengal are protected and not ostracised or denied the basics. Otherwise, a true shame. https://t.co/RnHYo6J6xN
— Nirmala Sitharaman (@nsitharaman) June 5, 2021
কিন্তু তৃণমূলের দাবি পরিকল্পিতভাবে বিরোধীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল যদি এরকম লিফলেট ছাপাতো তাহলে “মহিষদা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস” কখনোই লিখতো না।
এই প্রসঙ্গে শুক্রবারে দেব টুইট করে জানান, “এই লিফলেট টি দেখার পর আমি ব্যক্তিগতভাবে কেশপুরে আমার দলের কর্মীদের সাথে কথা বলেছি। এবং তারা আমাকে নিশ্চিত করেছে এই কাজটি তৃণমূলের কোনো সদস্য করেনি।
🙏🏻🙏🏻🙏🏻 https://t.co/pJhiwAoFXR pic.twitter.com/a2MQQ9X9ZE
— Dev (@idevadhikari) June 4, 2021
কে কোন দলের টা বড় কথা নয় মানবিকতাই শেষ কথা। এরকম হিংসার সমর্থন আমি করিনা। যখন আমি শপথ গ্রহণ করি তখন আমি এটা ঠিক করিনি যে শুধু যারা আমাকে ভোট দিয়েছে তাদের জন্য এগিয়ে আসবো, আমি প্রতিটি মানুষের কথাই ভাবি এবং সকলের জন্যই এগিয়ে আসার চিন্তাভাবনা রাখি। দয়া করে অকারনে দলের নাম বদনাম করবেন না। এমনিতেই একটা কঠিন সময় চলছে। শান্তি, ভালোবাসা বজায় রেখে চলাটাই এখন কর্তব্য।”