ডেস্ক: মঙ্গলবার অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণার পর বুধবার থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিক্ষোভের ঘটনা দেখা যায়। বিহারে এই বিক্ষোভের হিংসা সবথেকে বেশি দেখা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক অংশেও একই ঘটনা। কার্যত অগ্নিপথ বিক্ষোভেরণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্য।
গত শুক্রবার সকাল থেকেই বিহার জুড়ে চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা। চালায় ভাঙচুর আগুন ধরিয়ে দেয় ট্রেনে। পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরেও একই ঘটনা দেখা যায়, রেল অবরোধ করে চাকরিপ্রার্থীরা। লাইনে বসে দেখা বিক্ষোভ। অফিস টাইমে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে নিত্যযাত্রীরা।
শনিবার সকাল থেকে ব্যারাকপুর স্টেশনের 14 নম্বর লাইনে আবার শুরু হয় বিক্ষোভ। শিয়ালদহ মেন থেকে ট্রেন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় রেল কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে আরো কিছুক্ষণ চলতে থাকলে চরম বিপদের মুখে পড়বে অফিস যাত্রীরা। পুলিশ ও রেল পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছেন তবে তারা কতটা সফল হয়েছেন তা সময়ের সাথে সাথে জানা যাবে। অগ্নিপথ বিক্ষোভের জেরে রাজ্যে থেকে ইতিমধ্যে 13টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
বাতিল হওয়া ট্রেনের তালিকা:
আসানসোল-গয়া মেমু এক্সপ্রেস
আসানসোল-বারাণসী মেমু এক্সপ্রেস
কলকাতা- জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস
হাওড়া- দেরাদুন কুম্ভ এক্সপ্রেস
হাওড়া-পাটনা জনশতাব্দী এক্সপ্রেস
বাকা-রাজেন্দ্রনগর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস
মালদা টাউন- নিউদিল্লি এক্সপ্রেস
ভাগলপুর-আনন্দপুর গরীবরথ এক্সপ্রেস
হাওড়া- নিউ দিল্লি পূর্বা এক্সপ্রেস,
হাওড়া- ধানবাদ ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস,
হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেস
হাওড়া-দ্বারভাঙা এক্সপ্রেস
প্রসঙ্গত, বিহারের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয় । রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD), হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা(HAM), এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি (VIP) এই বনধকে জানাচ্ছে সমর্থন। বিহারের 12 টি জেলায় 48 ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। দারভাঙ্গা ও সমস্তিপুর এ জারি হয়েছে 144 ধারা।