পূরণ হয়েছে অক্সিজেনের ঘাটতি, বেড়েছে 10 গুণ উৎপাদন

ডেস্ক: রাজ্য তথা দেশজুড়ে অক্সিজেনের জন্য ত্রাহি ত্রাহি রব। প্রাণবায়ু সংকট বেড়ে চলেছে দিন প্রতিদিন।

কিন্তু এই অভাব পূরণ করতে রাজনীতিবিদ থেকে অভিনেতারা, বাণিজ্যিক সংস্থা থেকে ভারতীয় বায়ুসেনা এগিয়ে এসেছে বহুবার। একদিকে মহামারীর সংক্রমণ অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের আক্রমণ সবকিছু মিলিয়ে বহু সংগ্রাম করে জীবন যাপন করছে সাধারণ মানুষ।

এ বিষয়ে তুলে ধরলেন দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার “মন কি বাত” অনুষ্ঠানে। 3 রা অক্টোবর 2014 সালে এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। টানা সাত বছর ধরে চলতে থাকা এই অনুষ্ঠানের আজ 77 তম পর্বে প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বাস্থ্য কর্মী ও কোরোনাযোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানান তাদের নিরলস পরিশ্রমের জন্য।

তিনি অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেশের অক্সিজেনের ঘাটতি এবং তা কিভাবে পূরণ হয়েছে সে বিষয়ে জানিয়ে বলেন, “বিগত 100 বছরের বিশ্বের সবথেকে ভয়ংকর মহামারী হল করোনা। কিন্তু আমাদের দেশের স্বাস্থ্য কর্মী ও প্রথমসারির যোদ্ধারা এই লড়াইয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। সাধারন সময় দেশে প্রতিদিন 900 মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন উৎপাদন করা হতো। বর্তমানে তা দশগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে দেশে প্রতিদিন 9500 মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন উৎপাদন করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, “সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই অক্সিজেন পরিবহন একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু ক্রায়োজেনিক অক্সিজেন ট্যাঙ্কারের চালকরা সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে অক্সিজেন পৌঁছে দিয়ে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।”

মন কি বাত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশার সাথে যুক্ত মানুষদের সাথে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন। সেখানে উত্তরপ্রদেশের দীনেশ উপাধ্যায় নামক এক ব্যক্তি অক্সিজেন পরিবহন এর সাথে যুক্ত আছেন। বিপর্যস্ত সময় তিনি বিভিন্ন হাসপাতালে তরল অক্সিজেন পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে ধন্যবাদ বলে অভ্যর্থনা জানান।

এইরকমই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা বহু মানুষদের সাথে তিনি কথা বলেন এবং তাদের ছোটো ছোটো পদক্ষেপকে সম্মান জানান।

তিনি বলেন, “সাত বছরের দেশ নানা সাফল্য অর্জন করেছে। বিগত বছরগুলোতে একটি মন্ত্র অনুসরণ করেই এগিয়ে চলেছে দেশ, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। আমরা সকলে মিলে সাফল্য উদযাপন করছি। আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে আমাদের দেশ নিজস্ব নীতিতে পরিচালিত হয়। জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে কখনও সমঝোতা করে না। যখন অন্যান্য দেশে নানা চক্রান্তের কড়া জবাব দেয় ভারত তখন সমস্ত দেশবাসীর এই আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়।