ডেস্ক: জ্বর হোক কিংবা গা-হাত-পায়ে ব্যথা, প্যারাসিটামল আমাদের প্রায় সকলেরই সঙ্গী। সেই প্যারাসিটামলই নাকি সাব-স্ট্যান্ডার্ড ওষুধ । সম্প্রতি ওষুধের গুণমানের পরীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই ভয় ধরিয়ে দেওয়ার তথ্য। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন ৫২টি ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করে সতর্কবার্তা দিয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে প্যারাসিটামল, প্যান্টোপ্র্যাজোল এবং অসংখ্য অ্যান্টিবায়োটিক। এই সমস্ত ওষুধের গুণমান একেবারেই ঠিক নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। এর মধ্যে ২২ ধরনের ওষুধ হিমাচল প্রদেশে তৈরি হয় বলে চলতি বছর মে মাসেই সতর্ক করে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা।
জানা গিয়েছে, জয়পুর, হায়দরাবাদ, ওয়াঘোদিয়া, ভদোদরা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ইন্দোর থেকে যেসমস্ত ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলিও গুণমানের নিরিখে একেবারেই সঠিক স্তরে নেই। সব ওষুধকে ‘সাব-স্টয়ান্ডার্ড’ তকমা দিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। রিপোর্ট অনুসারে মোট ৫২টি ওষুধের স্যাম্পল CDSCO আয়োজিত এই কোয়ালিটি চেকিং পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছে। গত ২০ জুন CDSCO যে ড্রাগ অ্যালার্ট প্রকাশ করেছে সেই প্রতিবেদন অনুসারে প্রকাশ্যে এসেছে আতঙ্ক ধরিয়ে দেওয়ার মতো এই পরিসংখ্যান। প্যারাসিটামল ওষুধ ‘সাব-স্ট্যান্ডার্ড’ তকমা পাওয়া যে নিঃসন্দেহে আতঙ্কের, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। মোট ৫০টি ওষুধ রয়েছে খারাপ গুণমান সম্পন্ন ওষুধের তালিকায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুধু আমরা নিজেরাই যে মুঠোমুঠো প্যারাসিটামল খাই তা নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিকিৎসকরাও এই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অথচ সেই ওষুধকেই CDSCO সাব-স্ট্যান্ডার্ড ওষুধের তকমা দিয়েছে। স্বভাবতই চিন্তিত আমজনতা, ভুগছেন উদ্বেগেও।
জানা যাচ্ছে, এই তালিকায় রয়েছে Clonazepam ওষুধও যা মূলত সিজার হলে দেওয়া হয়। এছাড়াও কারও অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার হলে এই ওষুধ খেতে বলা হয়। ব্যথা কমানোর ওষুধ Diclofenac, হাইপারটেনশন কমানোর জন্য ওষুধ Telmisartan, শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য Ambroxol, অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ Fluconazole, বিভিন্ন ধরনের মাল্টিভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট- এই সবকিছুই রয়েছে সাব-স্ট্যান্ডার্ড ড্রাগের তালিকায়।
শুধু জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল নয়, হজমের ওষুধ, একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক, রক্তচাপ কমানোর ওষুধও রয়েছে এই তালিকাতেই। ওষুদের ব্যাচ নম্বর ধরে সমস্ত রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলকে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা দিয়েছে কেন্দ্র। এই তালিকায় রয়েছে ডায়রিয়া কমানোর অ্যান্টিবায়োটিকও। সংশ্লিষ্ট ব্যাচের ওষুধ বাজার থেকে তুলতেও ড্রাগ কন্ট্রোলকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র।